ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর। কারন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। কিন্তু বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলন দেখে সরকার ভয় পাচ্ছে বুঝতে পারছে দেশের জনগণ তার বিপরীতে চলে গেছে। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হল।
হাসিনার সময় যে শেষ হয়ে আসছে সেটা হাসিনা নিজেও জানে। সে সেই অনাগত দিনের জন্য প্রস্তুতিও নিতেছে। চোখ কান খোলা রাখলে আপনি সব ইঙ্গিত ধরতে পারবেন। আজকে আমি সেই ইঙ্গিত গুলা ধরায়ে দেবো।
প্রথম ইংগিত ইন্ডিয়া সফর। আচ্ছা বলেন এই সফরে হাসিনা কেন গেলো? সাতটা এম ও ইউ। মানে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্টান্ডিং মানে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের জন্য। যেইটা পি এম সাক্ষর করেও না। করে সচিব বা তার নিচের সরকারি কর্মকর্তা। এর মানে কোন চুক্তিও না। মানে এম ও ইউ এই রকমের হয় যে আমরা সমঝোতা করলাম যে আমরা দুইজনে আলাপ করবো আজকের ডিনারে মাছ হবে নাকি মাংস হবে। এইটার জন্য পি এমের যাইতে হয়? না হয় না। তাইলে কেন গেলো? গেলো দুইটা কারণে,
এক চিনা টেকা নিবে কারণ হাসিনার কাছে টেকা নাই। চিনা টেকা নিলে যা দিতে হবে চিনকে তা দিলে ইন্ডিয়া চরম বিলা হবে। ইন্ডিয়া যেন বিলা না হয় সেইটা কইতে গেছে হাসিনা। মোদির চেহারা দেখছেন? হাসি নাই চেহারায় মনে হয় কোষ্ঠপরিষ্কার হয় নাই। মুখটা পেচার মতো কইর্যা রাখছে। হাসিনার মুখেও হাসি নাই। জোর কইর্যা হাসতেছে মনে হয় দুইজন। আপনারা কইবেন আপনি হাসি দিয়া সব বুঝলেন? ভাইজান বডি ল্যাংগুয়েজ হইতেছে আসল ল্যানগুয়েজ। আপনার শরীরে আপনার মনের ছায়া ফেলে। বুদ্ধিমান হইলে আপনারে রিমান্ডে নিতে হয়না, কথা কইলে সত্য মিথ্যা আওব বাইর হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামীলীগ সরকার আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় সে কারনে তারা ভারতকে পাশে চায় মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। কিন্তু বিরোধী দলকে রাজ পথে দেখে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তন আভাস্ব পেয়ে এ সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী।