মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আর এই কারণে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হবে। মোহা শফিকুল ইসলাম যিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আগামীকাল একটু বেশি সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
মোহা শফিকুল ইসলাম আরও বলেন যদি কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছাতে গিয়ে কোন ধরনের সমস্যায় পড়ে তাহলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় পু’লিশ। অন্যান্য বছর এই তৎপরতা থাকে ‘ইউনিফর্ম লেড’ (পুলিশি পোশাকে)। এবার গোয়েন্দা তৎপরতায় জোর দিয়েছে পুলিশ।
এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য আছে কি না কিংবা জঙ্গি হামলার আশ’/ঙ্কা আছে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
মোহা শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, জ’/ঙ্গি হামলার আগাম কোনো খবর নেই। জঙ্গিদের কার্যক্রম আকস্মিক। তাই আগাম তথ্য পাওয়া যায় না। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোয় নিয়মিত অভিযান চলছে বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।
এবারের বিজয় দিবস উদযাপন উৎসবে কয়েক’শো অথিতি বিদেশ থেকে আসছে বলে জানা গেছে। মোহা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্যারেড স্কয়ারে ৬ টি গেট খুলে দেয়া থাকবে। যাতে করে সাধারন মানুষ সহজে গমনাগমন করতে পারে তবে সেখানে নিরাপত্তা তল্লাশি ব্যতীত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
যাতায়াতে যাতে মানুষ সুবিধা পায় সেজন্য বিলবোর্ডে নির্দেশনা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি যোগ করে বলেন, সবাইকে প্যারেড অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য রুট ম্যাপ ধরে এগোতে হবে। এটা আমাদের জীবদ্দশায় সবচেয়ে বড় উৎসব হবে এবং সেটাই আমরা পালন করতে যাচ্ছি। এজন্য যাতে অনুষ্ঠান উদযাপনে সফলতা লাভ করা যায় সে বিষয়ে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।