দেশে দীর্ঘ দিন ধরে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে কোভিড১৯ ভাইরাসের প্রকোপে। তবে সম্প্রতি এই চলমান পরিস্তিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বেশ কিছু নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে ১২ই সেপ্টম্বর থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। এরই সুবাদে এবছরের এসএসসি পরীক্ষা এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার। অবশ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রনালয়। এমনকি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রনালয়।
২ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। যা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। সোমবার পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ পরীক্ষার চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করা হয় যার অপেক্ষায় ছিল প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থী। সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকেল ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই ধাপে পরীক্ষা হবে।
জানা গেছে, করোনার কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে দেড় ঘণ্টা। এক্ষেত্রে এমসিকিউ ও সিকিউর মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা
১. করোনা মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৪. পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ ও সিকিউ অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ, সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ। বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। বেলা ২টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। আর বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বহুনির্বাচনী (ওএমআর শিট) উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ।
৫. পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করবে।
৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহ করা উত্তরপত্রে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. ব্যবহারিক বিষয়ে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর দিয়ে নম্বরগুলো ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
১১. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিচার ফোন (স্মার্টফোন ছাড়া) ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া পরীক্ষার হলে অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
শিক্ষাখাতের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সংকট করোনা ভাইরাসের তীব্র তান্ডবে। তবে বাংলাদেশ সরকার করোনায় সৃষ্ট সকল সংকট মোকাবিলায় গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ। বিশেষ করে শিক্ষাখাতে খতিয়ে কাটিয়ে তুলতে ইতিমধ্যে গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।