পাকিস্তান বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে যার কারনে দেশটিকে বাইরের দেশগুলোর কাছ থেকে ঋন করার মাধ্যমে অর্থনীতিকে সচল রাখার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির কারনে সবচেয়ে বেশি সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে। তবে ঋনদাতা দেশগুলোর কাছ থেকে ইতিমধ্যে দেশটি কয়েক বিলিয়ন অর্থ ঋণ করার পর তা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়নি। এরই মধ্যে দেশটির সরকার অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য অর্থ ঋন করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নিকট আবেদন করেছে।
পাকিস্তান সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একটি দরজা খোলা রাখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বার্তা সংস্থা এএনআই।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) অর্থপূর্ণ জবাবদিহিতার বিষয়ে একমত নয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কাছে ১০০ শতাংশ হস্তান্তর করা হবে না। এক্ষেত্রে যতক্ষণ না স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান তাদের আর্থিক দায়গুলো কাভার না করে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা বজায় থাকবে।
রিপোর্ট অনুসারে, কাঙ্খিত কাভার না পাওয়া পর্যন্ত স্টেট ব্যাংকের মুনাফার অন্তত ২০ শতাংশ এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোষাগারে থাকবে। আইএমএফ পাকিস্তান সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, তারা দেশটিকে এক অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশের সমান ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেবে।
এদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতি বিষয়ে আইএমএফ পাকিস্তান সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপেরও প্রশংসা করে বলেছে, দেশটির নতুন পদক্ষেপের ফলে এই বছর ৪ শতাংশ এবং তার পরের অর্থবছরে ৪.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্বস্তিকর সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে চুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে খানকে ফোন করা এড়িয়ে গেছেন।