লক্ষ্মীপুরে ঋণের টাকা চাইতে গিয়ে খুন হয়েছেন মো. ইউনুস আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের কালু হাজী রোডের পাশের একটি বাড়িতে দাফন করা লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ২৪ আগস্ট তাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার সাত দিন পর তারা লাশ উদ্ধার করে সক্ষম হয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় ঘাতক মো. জাবেদ হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইউনুচের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি সপরিবারে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের গণি হেডমাস্টার রোড, সমসেরবাদ গ্রামে বসবাস করতেন। তার পিতার নাম আব্দুল রশিদ মোল্লা।
গ্রেফতারকৃত জাবেদ একই ওয়ার্ডের কালু হাজী রোডের মিঝি বাড়ির সফিকুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ও চায়ের দোকানদার।
ইউনুচের স্ত্রী সুলতানা জামান জানান, গত ২৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামী মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন তিনি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) হাসান মোস্তফা জানান, ইউনুস আলী গত ২৪ আগস্ট বিকেল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। পরদিন তার স্ত্রী সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরেই আমরা ভিকটিমকে খুঁজতে শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, ওই রাতে ভিক্টিক কালু হাজী রোডের বাসিন্দা জাবেদের কাছে আসেন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জাভেদ তখন তাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, ইউনুস আলী ‘গ্রামীণ বাংলা’ নামে একটি মাল্টিপারপাসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ দিতেন। তিনি নিজেই কোম্পানি চালাতেন। দৈনিক আড়াই টাকা কিস্তি পরিশোধের শর্তে জাবেদ তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। অনুষ্ঠানের আগে তিনি বেশ কয়েকটি কিস্তি আটকে রেখেছিলেন। ঘটনার দিন রাতে ইউনুস কিস্তির টাকা নিতে জাবেদের বাড়ির সামনে তার চায়ের দোকানে যান। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাভেদ লাঠি দিয়ে ইউনুশের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে তিনি নিজেই ইউনুসের লাশ দোকানের পেছনে মাটিতে পুঁতে দেন। ইউনুসের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) হাসান মোস্তফা জানান, মাটি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুকুর থেকে ইউনুচের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।