ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রবর্তক। তিনি একাধারে একজন অর্থনীতিবীদ ও ব্যাংকার। ড. মুহাম্মদ ইউনুস হলেন নোবেল পুরুষ্কার বিজয়ী একজন সম্মানীয় নাগরিক বাংলাদেশের। সম্প্রতি জানা গেছে মামলা বাতিল চেয়ে এবার আপিল বিভাগে গেলেন ড. ইউনূস।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ইউনূসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন তার আইনজীবী ড. বুধবার (২৪ আগস্ট) চেম্বার আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
১৭ আগস্ট মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ কারণে তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা ছিল না।
এর আগে গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সময়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ না করার কারণে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের আদেশে আজ শুনানি শেষে রুল খারিজ করা হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মো. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন খারিজ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মানুষ ক্ষুদ্রঋণ পেয়ে অনেকেই দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে ওঠে নানারকম অভিযযোগ আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চলছে মামলা মোকাদ্দমা। তার জের ধরেই ইউনুস এবার গিয়েছেন আপিল বিভাগে।