কয়েক দিন আগে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে একটি গাড়ি উপহার দিতে চেয়ছিলেন একজন শিক্ষক। এই ঘোষনা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার পর তুমুল আলোচনা শুরু হয়। এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে ঐ শিক্ষককে সাধুবাদ জানান। কিন্তু এক সময় ঐ শিক্ষক গাড়িটি না দেওয়ার জন্য গড়িমসি শুরু করেন। কিন্তু পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করে হিরো আলমকে গাড়িটি দেওয়ার কথা বলেন।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের হাতে উপহারের গাড়ি (মাইক্রোবাস) তুলে দিলেন হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান। এই উপহার গ্রহণ করে হিরো আলম বলেন, ‘গিফটের গাড়িটি গ্রহণ করেছি, তবে আমি এটা নিজে ব্যবহার করবো না। অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা দুর্ঘটনা বা জরুরী কারণে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে যেতে পারে না। তাই এই গাড়িটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে হিরো আলম চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে পৌঁছালে মুখলিছুর রহমান ও এলাকাবাসী তাকে স্বাগত জানান। এ সময় হিরো আলমকে দেখতে এলাকাবাসীর ব্যাপক ভিড় জমে। পরে তিনি এম মুখলিছুর রহমানের বাড়িতে উপহার প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় হিরো আলম গাড়ির কাগজপত্র ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে হিরো আলম বলেন, জনগণের ভালোবাসাকে টাকা দিয়ে ওজন করা যায় না। সিলেটের মানুষ আবারও প্রমাণ করল তারা কথা রাখে।
শিক্ষক মুখলিছুর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে সারা বাংলার হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, যেটা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি হস্তান্তর করে সব সমালোচনার জবাব দিলাম। কথা দিয়েছিলাম, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।
প্রসঙ্গত, বগুড়া ৬ ও ৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হিরো আলম। নির্বাচনের আগে ৩১ জানুয়ারি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হাজী আব্দুল জব্বার জিএল একাডেমি ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম মুখলিছুর রহমান তার ফে”সবুক পেজে লাইভে এসে হিরো আলমকে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফে”সবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘হিরো আলম এক সময় জিরো ছিলেন। শূন্য থেকে তিনি হয়ে ওঠেন নায়ক। হিরো আলম এখন সোনার টুকরো। দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বগুড়ার মানুষ তাকে জানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। তিনি বগুড়ার মানুষের মন জয় করেছেন।
এদিকে হিরো আলম নির্বাচনে পরাজিত হলেও তিনি এখন দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসেন। কারণ তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর কাছাকাছি সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। এই নির্বাচনের পরে হিরো আলম ব্যপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।