অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবেদ চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হিমেল অফিসিয়াল নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তার মৃত্যুর জন্য তার পুত্রবধূ নিলা ইস্রাফিলকে দায়ী করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের পুত্রবধূর একটি অডিও কল রেকর্ড তুলে ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ এফ হাসান আরিফ গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। একই দিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।
১৯৪১ সালে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এ এফ হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
হাসান আরিফ ১৯৬৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
তিনি বিদেশি বিনিয়োগ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ, করপোরেট ও সাংবিধানিক আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তার পেশাগত জীবনে তিনি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং আরবিট্রেশন সম্পর্কেও খ্যাতি অর্জন করেন।
তার মৃত্যু এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগ নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো তদন্ত শুরু হবে কি না, তা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।