দলটির নেতারা জানান, বিএনপি নেতারা শুধু উপজেলা নির্বাচনেই নয়, কোনো সরকারি কাজে নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন না। এমনকি সরকার পতনের আন্দোলনের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলেও জানান তারা। তিনি বলেন, নির্বাচন ও সংসদ বাতিল শিগগিরই আসছে দাবি আদায়ে ভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
নির্বাচনের আগে লাগাতার আন্দোলন, হরতাল-অবরোধ ও অসহযোগ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকা বিএনপি ভোটের পর অনেকটা নীরব। তবে নির্বাচন ও সংসদ বাতিলের দাবিতে চলতি সপ্তাহে আবারও কালো পতাকা মিছিল করেছে দলটি।
সরকারের পদত্যাগের দাবি নিয়ে কী ধরনের কর্মসূচি এগিয়ে আসবে তা নিয়ে খোদ দলের মধ্যেই চলছে জল্পনা-কল্পনা। শিগগিরই নতুন কর্মসূচি আসবে বলে নেতারা জানিয়েছেন। তৃণমূলের জন্য নতুন স্বপ্ন, সরকার উৎখাতের আন্দোলনের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামার কথা বলছেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘অনেকেই ভাবছেন ৭ জানুয়ারির পর আমরা অলস হয়ে পড়েছি। আসলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটা কৌশল থাকে–যারা আন্দোলনে আছে তারা যেমন একটা সুনির্দিষ্ট কৌশলের দিকে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, তেমনি যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় তাদেরও একটা কৌশল থাকে। সফলতার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করা দরকার সে কৌশলের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচন হোক বা যে কোনো কাজে অংশগ্রহণের পক্ষে থাকবে না। বরং তারা আন্দোলনে উদ্যমী এবং তারা সবাই একটি বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
সরকার নির্বাচন বর্জনের শাস্তি দিতে প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।