আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের প্রশ্নই আসে না; বরং জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মনে করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা বর্জন করেছে।
জাতীয় নির্বাচন রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায় ২০০ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ।
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে মাঠ উন্মুক্ত থাকবে। ক্ষমতাসীনরা কোনো প্রার্থীকে নৌকা দিচ্ছেন না। বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন দলের এই সিদ্ধান্ত জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আওয়ামী লীগের কৌশল ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে পারবে না বলেও বিএনপি নেতাদের অভিমত।
তারা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল আবারও প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা মোটেও ভাবছে না বিএনপি। উল্টো ভোটারদের ভোট বিমুখ করতে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,
আওয়ামী লীগ কেন নৌকা ছাড়ল? স্বেচ্ছায়? মোটেও না তারা দেখলেন নৌকা কোন কাজে আসছে না। মানুষ ভোট দিচ্ছে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন বলেন, ‘আগামী উপজেলা নির্বাচন কীভাবে হবে তা ঠিক করতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয় নির্বাচনে তাদের প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সেখানেও আবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রতীক দেওয়া হলেও সদস্যদের দেওয়া হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন,
বিএনপি অতীতে বলেছে, এখনও বলছে সরকারের অধীনে কোনো দলীয় নির্বাচন- জাতীয় হোক বা স্থানীয়- গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। আমরা যেমন জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছি, তেমনি স্থানীয় সরকারে দলের অধীনে যে নির্বাচন হবে তা বর্জন এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য আমাদের তৃণমূল থেকে দাবি এসেছে।
আগামী ৯ মার্চ উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনের তফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।