বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূলীয় বিভাগ খুলনা ও বরিশালের কয়েকটি জেলায় আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের তীব্রতা সাধারণ হওয়ার কথা থাকলেও চিংড়ি চাষিদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, হামুনের প্রভাবে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৪, ২৫, ২৬ ও আগামী ৩ দিন খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এবং বরগুনা ছাড়াও জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি এবং কোথাও কোথাও ৭ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
ক্ষতির মুখে পড়তে পারে উপকূলীয় চিংড়ি ঘের ও মৎস্য সম্পদ। তাই লোকসান ঠেকাতে কৃষকদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। চিংড়ির ঘেরগুলো জাল দিয়ে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া ঘেরে বেশি করে খাবার দিতে হবে। কারণ, মাছ খেতে পেলে অন্য জায়গায় যায় না।
উল্লেখ্য, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘হামুন’। নামটি ইরান দিয়েছে।