মানুষের বিভিন্ন নৈতিক গুণাবলির মধ্যে একটি বিপদে অন্যকে সাহায্য করা। তবে কাউকে সাহায্য করতে গিয়ে উল্টো তাকেই বিপদে পড়তে হয়নি, এটা আসলেই মেনে নেয়া যায় না। কেননা এ নিয়ে একটি প্রবাদও আছে ‘উপকারীরে বাঘে খায়’। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটলো ভারতে।
জানা যায়, আত্মহনন করার অনুমতি চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে টুইট করেছেন ত্রিপুরার এক ইঞ্জিনিয়ার। সোমবার (৩ জানুয়ারি) মোদীকে টুইট করা বায়োমেডিক্যাল ইস্ট্রোমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাতুন দে বিষয়টি নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে আগরতলা মেডিকেল কলেজ ও জিবি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে হঠাৎ করে পাইপলাইনের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ওয়ার্ডের আইসিইউতে থাকা ৪০ জন মুমূর্ষু রোগীর জীবনে চরম আশঙ্কা নেমে আসে। তখন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাকে ফোন করে অক্সিজেনের পাইপলাইনের সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি কোনো চিন্তা না করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতেই কোভিড ওয়ার্ডে ছুটে গিয়ে পাইপলাইন মেরাতম করে ৪০ জন রোগীর জীবন বাঁচান।
এজন্য বিজেপি সরকার তাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে উল্টো পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্জে মামলা করে। মামলার কারণে বিভিন্ন সময় পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে।
তিনি তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন। দীর্ঘ দেড় বছর হয়ে গেলেও তদন্তের কোনো কিনারা হয়নি। যদি তাকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে, তবে তাকে সাজা দেওয়া হোক অথবা তদন্তে যদি উঠে আসে তিনি দোষী নন তবে তা জানিয়ে দেওয়া হোক। এভাবে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে তিনি হতাশায় ভুগছেন, কারণ সমাজ তাকে কি নজরে দেখছে এই ভেবে।
আর এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ সাহায্য কামনা করেছেন ঐ ইঞ্জিনিয়ার। তবে এখনও তার করা ঐ টুইটের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। কিন্তু জবাবের জন্য রীতিমতো অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।