বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা তিন মেয়াদে দেশের সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এছাড়াও বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আপ্রান ভাবে কাজ করছেন তিনি। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান পেলে কী কী সুবিধা পাবে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেকের সন্দেহ থাকতে পারে উন্নয়নশীল দেশ হলে বোধ হয় অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো। আসলে যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো তার চেয়ে বেশি সুবিধা আমরা পাবো। আমাদের বাণিজ্য বাড়বে, রপ্তানি বাড়বে, রপ্তানি সুবিধা পাবো।’ আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য। পাট ও পাটজাত পণ্যও আমরা রপ্তানি করতে পারি। আমাদের দেশে বিনিয়োগ হবে, তেমনি আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব পণ্য প্রদর্শনীসহ সব আয়োজন এখানে করে এই এক্সিবিশন সেন্টার সচল রাখবেন এবং এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করবেন বলে আশা করি।’ বাণিজ্যমেলার নতুন এই স্পট দেখতে যেতে না পারা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বাণিজ্যমেলার এই নতুন স্পটটা দেখে আসতে পারিনি। তবে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে, সেটা বাস্তবায়ন করেছি বলেই আমরা আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই এক্সিবিশন সেন্টার উদ্বোধন করছি।’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের কর্মকর্তারা।
অবশ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লিপিববদ্ধ করতে বাংলাদেশকে বর্তমনা সময়ে এক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কয়েকটি ধাপে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবং নিজেদের লক্ষ্যে পৌছাতে আপ্রান ভাবে বাকী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলস ভাবে কাজ করছে।