সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণের মনে একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। তবে এই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি জনসাধারনের জন্য জীবন ধারনে সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এদিকে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের ভেতর দৃব্যমূল্য বৃদ্ধির ভয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আশা দেখানোর কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নসরুল হামিদ বলেছেন, আমাদের মাটির নিচে এখনো অনেক গ্যাস রয়েছে। সেটা উঠানো উচিত। মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ আলোচনার আয়োজন করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, যু”দ্ধবি/’ধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু ওই সময় বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনেছিলেন। উনি তো নাও কিনতে পারতেন। সেই গ্যাস এখন কাজে লাগছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈশ্বিক জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ধৈর্য ধরে ও জাতির পিতার প্রতি আস্থা রেখে একটি উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তবেই আমরা এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারব। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
গ্যাস উত্তোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সম্পদ এক্সপ্লোরেশনে বাকি আছে। আমাদের অনেক সম্পদ রয়ে গেছে। সেদিকটাই আমাদের যেতে হবে। আমাদের এখন ভাবতে হবে আমরা স্বল্প, দীর্ঘ বা মধ্যমেয়াদী সিদ্ধান্তে যাব কি না। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া রোগ আবার আসতে পারে। আবার যু”দ্ধ আসতে পারে। সেই প্রস্তুতি আমাদের রাখতে হবে।
ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মাহবুব হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
প্রসংগত, তবে সরকার বারবার দাম সমন্বয় করার কথা বললেও সেটা মুখে মুখেই রয়ে যাবে এমনটাই বলছে সাধারণ মানুষেরা। কারণ দেশে কোন কিছুর দাম একবার বৃদ্ধি পেলে সেটা আর কমে না। এদিকে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অতীত সব ইতিবাচক বিষয় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।