২০০০ সালে পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সেতুটির নাম অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে বরিশাল থেকে পিরোজপুর হয়ে খুলনা যেতে ৮টি ফেরি পার হতে হতো। বরিশাল থেকে খুলনা যাওয়ার পথে পথে অনেক দুর্ভোগ ও শঙ্কা সাধারন জনগনকে পোহাতে হতো। সারাদিন গুছিয়ে এই পথ পাড়ি দিতেন যাত্রীরা। তবে এখন আর কোন ফেরি থাকছে না।
পিরোজপুরে কচা নদীর উপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের আগেই কাউখালী পাশের বিদ্যুতের লাইনের তামার তার চুরি হয়ে গেছে।মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার একটি ভান্ডারীর দোকান থেকে বস্তায় চুরি হওয়া তারগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই দোকানদারসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার ভাঙ্গাড়ির দোকানদার বেলায়েত হোসেন, একই উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৪৫), দক্ষিণ শিয়ালকাঠি গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে বেলায়েত হাওলাদার (৩০) ও তরিকুল ইসলাম (২০)। কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের জাকির আকনের ছেলে।
বেলায়েতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোসেনের ছেলে কাউছার হোসেন (২২) ও হোসেন গাজীর ছেলে ওহিদুল গাজীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, চোরেরা বেকুটিয়া সেতুর ল্যাম্পপোস্টের নিচে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইনের কভার খুলে তামার তার কেটে বিক্রি করে। এর আগেও চোরদের বিরুদ্ধে বেকুটিয়া সেতুর লোহার রড এবং পাঙ্গাশিয়া বাজারে সেতুর বিম ও অ্যাঙ্গেলসহ মূল্যবান মালামাল চুরির অভিযোগ রয়েছে। কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন দেশের জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দোকান থেকে চার বস্তায় চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর থেকে বরিশালগামী এক যাত্রী নাম পলক হাসান বলেছিলেন, খুলনা থেকে বরিশালে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই কাঁচা নদীটিই বড় বাধা। যেখানে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগার কথা, সেখানে সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সেতুটি চালু হলে এ দুর্ভোগ কেটে যাবে বলে আশা করেন সাধারন জনগন।