পদ্মা সেতু উদ্বেধনের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশের জনগন। ২৫ জন উদ্বেধনের মধ্যদিয়ে ২৬ তারিখ থেকে যানবাহন পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল শুরু করা কথা থাকেলেও দেরি সয্য হচ্ছে না অনেকের। তারা চায় এখনই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে পর হতে। তাই প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক টোল আদায়ের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হয়েছে প্রকল্পের যানবাহন। শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাওয়া প্রান্তে টোল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হয় প্রকল্পের যানবাহন।
এ প্রসঙ্গে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা প্রকল্পের গাড়ির টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছি। প্রকল্পের প্রথম গাড়িটি 1200 টাকা টোল দিয়ে পার হয়েছিল। টোল ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে সবকিছু ঠিক আছে।
এর আগে ১৪ জুন সন্ধ্যায় মাওয়া ও জাজিরার সব ল্যাম্পপোস্টে একযোগে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে রাস্তার আলো জ্বালানো হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে এরই মধ্যে সব কাজ শেষ হয়েছে।
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিটের ট্রাস সেতুর উপরের দিকে একটি চার লেনের রাস্তা এবং নীচে একটি সিঙ্গেল রেল থাকবে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী অববাহিকায় ইতিমধ্যে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। দেশের বৃহত্তম সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে 6.15 কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং 16.10 মিটার প্রস্থে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। নিজস্ব ব্যয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুত প্রবাহিত পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের সেতু। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সমসাময়িক ইতিহাসে একটি মাইলফলক স্থাপন করছে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এবং একটি চীনা কোম্পানির প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত সেতুটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতও।