পদ্মা বহুমুখী সেতু তৈরী নিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোনো বাধাকে পাত্তা না দিয়ে সাহসি উদ্যোগের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু তৈরীর পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রুপ লাভ করেছে। ২৫ শে জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব যা বললেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলটি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যারা মানুষ হ/ত্যা করে, বিশিষ্টদের চুবিয়ে মারতে চায়, তাদের আমন্ত্রণে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাবেন না।
এর আগে বুধবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান সেতু বিভাগের উপ-সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর এবং পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। তবে এ তালিকায় নেই দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম।
বিএনপির আমন্ত্রিত সাত নেতা হলেন- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই কার্ড রিসিভ করিনি। আমি অফিসে বসেছিলাম, জাস্ট তারা দিয়ে গেছেন। সেতু বিভাগের কর্মকর্তা দিয়ে গেছেন।এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
নয়া পল্টনে কার্ড দেওয়ার সময় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না বলে জানান বিএনপি মহাসচিবমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রাণনাশকার ও দেশের বিশিষ্টজনদের অপমানকারীদের আমন্ত্রনে যাবে না বলে মন্তব্য করেন।