বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম বড় একটি দল জাতীয় পার্টি। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের হাতে গোড়া এই দল একটা সময়ে বেশ আলোচনায় থাকলেও বর্তমানের এর অবস্থা একেবারেই করুন। আর এর মুলে রয়েছে দলের সংগঠিনক সমস্যা এবং অনেকেই এর জন্য দোষারোপ করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে।
এ দিকে আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে শুনানিকালে তিনি এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শুনানিতে শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাদী জিয়াউল হক নিজেকে জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। আসলে জাতীয় পার্টির তেমন অবস্থান নেই। চেয়ারম্যানের উপদেষ্টারা আছেন। বাদী মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং আদালতে ভুল উপস্থাপন করে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় উপনেতা। আদালতের এই আদেশের ফলে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরেই জিএম কাদেরকে নিয়ে চলছে নানা ধরনের সমলোচনা। দলের মধ্যে তার অবস্থান গেছে একেবারেই তলানীর দিকে। বিশেষ করে গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার আদেশ দেন।