জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস// বুকে আমার আজ ভালো লাগছে না পোস্ট করে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ওই শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় এমনটাই লিখেছেন যার ছবি এখন ফেস// বুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রটি তার পরীক্ষার খাতার উত্তর পত্রের অংশে লিখেছিল, স্যার, আজ আমার মন ভালো নেই। উত্তরপত্র কোনো পরীক্ষার অংশ না হলেও বাম পাশে লাল কালিতে শূন্য নম্বর দিয়ে বাতিল লেখা আছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র তার উত্তরপত্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন, সে লিখেছেন যে, স্যার, আজ আমার ভালো লাগছে না। বিষয়টি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ছাত্রকে বিভাগীয় তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে। তদন্তে তার শাস্তিও হতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারে এক শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত উত্তরপত্রের প্রথম পাতার ছবি ফেস// বুকে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর বিভাগে বলা হয়েছে, স্যার, আজ আমার মন ভালো নেই।
জানা গেছে, ছড়ানো লেখাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষার অংশ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত উত্তরপত্র সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীটি তা করেছে। তবে বাম পাশে লাল কালিতে শূন্য নম্বর দিয়ে উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে। ছবিটি ফেস// বুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হলে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। ওই ছাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রসিকতা এতদূর যাবে তা ভাবিনি। আমি একটি অতিরিক্ত কাগজে মজা করে লিখেছিলাম, তিনি যোগ করেছেন। কিন্তু এতটা ছড়িয়ে পড়বে, ভাবিনি স্যারও আমাকে এই বিষয়ে ডেকেছেন। আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি বুঝতে পারছি না কি হবে।
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মমিন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো স্পষ্ট কিছু জানি না। রোববার ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। তারপর আমরা বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ভাইরাল হওয়া অতিরিক্ত উত্তরপত্রে পরিদর্শকের স্বাক্ষর ইংরেজি বিভাগের কোনো শিক্ষকের নয়। তবে সত্যতা প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতে হবে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার উত্তরপত্রের অপ্রাঙ্গিক কথা লেখার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন এই কর্মের সাথে জড়িত ছাত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হলে প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে ঘটনাটিকে নিয়ে। তবে ওই শিক্ষার্থী জানান, টাইমলাইনে মজা করে পোস্টটি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা নিয়ে এতো দুরে গড়াবে সে সে আন্দাজ করতে পারেনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি পোস্টটি মুছেও দেন। ওই ছাত্র আরও বলেন, বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যাবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি নিজেই ইনভিজিলেটর স্বাক্ষর করেন।