সুনামগঞ্জ-২ আসনের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলের সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একই দিনে একই সময়ে দুই দল পৃথক প্রচার সমাবেশ করছে। তাই নির্বাচনী রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
দিরাই-শাল্লা নিয়ে গঠিত বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী ডা. জয়া সেনগুপ্ত গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে দিরাইয়ে অবস্থান করছেন। ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর শাল্লার বিভিন্ন এলাকায় জনসভা ও পথসভা করেছেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দিরাইয়ের ভাটিপাড়ায় গণসংযোগ ও উন্নয়ন সভার মাধ্যমে এ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন জয়া সেনগুপ্তা। দুই উপজেলার মধ্যে দিরাইয়ে ভোটার সংখ্যা বেশি। এসব সমাবেশে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজ-উ-দৌলা তালুকদার, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শনিবারের জনসভায় জয়া সেনগুপ্তা আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, জয়া সেনগুপ্তা যেখানেই যান, শত শত মানুষ তার পাশে দাঁড়ান। তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং আলোচিত ব্যক্তি।
অপরদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন চৌধুরীও প্রচারণা চালিয়েছেন। শুক্রবার ও শনিবার দিরাইয়ের কয়েকটি এলাকায় সমাবেশ করেন তিনি। এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দিরাইয়ে জয়া সেনগুপ্তবিরোধী মহলের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি।
আলামিন চৌধুরীর সমাবেশে দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়, ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতা হুমায়ুন রশিদ লাভলু, আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল সরদার, জসিম উদ্দিন, কুমুদ রঞ্জন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আলামিন চৌধুরী আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে উপস্থিত দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় বলেন, আমরা এ আসনে পরিবর্তন চাই, একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।তাই আমি আলামিন চৌধুরীকে জনসভা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
রঞ্জন রায় বলেন, জয়া সেনগুপ্তার সঙ্গে দলের সক্রিয়, যোগ্য ও ত্যাগী অনেকেরই যোগাযোগ নেই। সে কাউকে ডাকছে না।