গত তিন মাস আগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার মো. নাছির উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে আরিফা মনি ওরফে আনিকার। ইচ্ছা ছিল সংসারটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবেন তিনি। কিন্তু সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না তার। সংসারটাকে গুছিয়ে নেয়ার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিতে হলো আনিকাকে।
আনিকা চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ির মনির আহমেদের দ্বিতীয় মেয়ে। নাসির উদ্দিন পেশায় একজন ফার্নিচার মেকানিক।
পেশায় দিনমজুর মনির আহমেদের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। ফলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর থেকে আনিকা ভালোই সংসার করছে। কিন্তু এরপরই আসে তার আ’ত্ম’হ’ন’নে’র খবর। বৃহস্পতিবার সকালে শ্ব’শুর বাড়ি থেকে আনিকার /লা/শ/ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, শশুরবাড়ির লোকজনের পক্ষ থেকে এটিকে আ”ত্ম’হ”ন’ন বলা হলেও আনিকার স্বজনদের দাবি- কোরবানির ঈদে ছাগল দাবি করেছিলেন শশুরবাড়ির লোকজন। ছাগল না পেয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে আনিকাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
আনিকার চাচাতো ভাই মোঃ বাদশা জানান, বড় বাবার চার মেয়ে। কোন ছেলে নেই। দিনমজুরের কাজ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সামনে ঈদুল আজহা, তাই আনিকার শ্বশুর বাড়ি থেকে ছাগলের চাহিদা ছিল। বড় বাবা জানান, সামর্থ্য না থাকায় টাকা দিতে পারছেন না। কিন্তু এ বছর না দিলে পরের বছর দেবে। বড় বাবাও এতে রাজি হননি। এ কারণে তারা আমার বোনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে। আমরা সঠিক তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি চাই
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কয়েকজন জানান, কোরবানির ছাগল নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আসলে তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।