দেশ জুড়ে অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা। এই সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জে। এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমানের অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। বর্তমান সময়ে তিনি ভারতে রয়েছেন। এবার তার সাথে দেখা করতে গিয়ে ভারতের প্র/শা/স/নে/র কাছে গ্রে/ফ/তা/র হয়েছেন আরও এক বাংলাদেশী।
ভারতে গ্রে/প্তা/র বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রে/প্তা/র হয়েছেন এক বাংলাদেশি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে টিভি নাইনের খবরে বলা হয়েছে এ কথা। ওই খবরে বলা হচ্ছে আটক বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ বাহারুল। তিনি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিলিগুড়ি পু/লি/শে/র জা/লে আ/ট/ক হয়েছেন। গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের আপন ভাই ও প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক বলে পরিচিত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে বি/এস/এফের হাতে আ/ট/ক হন সোহেল রানা। তবে তাকে আ/ট/কে/র সময় তার পরিচয় জানতো না বি/এস/এফ। আটকের পর জানা যায় সোহেল রানার পরিচয়।
টিভি ৯ লিখেছে, পু/লি/শ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ বাহারুল গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে যান। শিলিগুড়িতে কয়েকদিন থেকে তিনি কলকাতা যাচ্ছেন জানিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যান। এর দিন তিনেক পর ফিরে আসেন তিনি। জানান গৌহাটি থেকে ফিরছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তার কাছে বৈধ পাসপোর্টও রয়েছে। পু/লি/শে/র ধারণা সোহেল রানাকে কোনো বার্তা পৌঁছে দিতে বা সোহেল রানার কাছ থেকে কোনো গো/প/ন তথ্য জানতেই তিনি শিলিগুড়ি এসেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পু/লি/শ। সোহেল রানাকে দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ থেকে তিনদফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে ভারতের দিক থেকে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে বাংলাদেশ পু/লি/শে/র এনসিবি শাখা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ও ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়। গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মা/ম/লা করেন প্র/তা/র/ণা/র শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্র/তা/র/ণা/র শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আ/ত্ম/সা/তে/র অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পু/লি/শে/র বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। শুরু থেকেই ই–অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি। তবে অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অবশ্যে দেশ জুড়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর নানা অপরাধ কর্মকান্ড প্রকাশ্যে আসতেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার সকল অপরাধ কর্মকান্ড নির্মূলে। ইতিমধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে বেশ কিছু নীতিমাল প্রনয়ন করেছে সরকার। এমনকি অভিযুক্ত সকল ই-কমার্সের ব্যবস্থাপকদের ৎক করে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফিরতেও বিশেষ ভাবে কাজ করছে সরকার।।