বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক সপ্তাহ আগে দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন। তার দেওয়া বার্তার পরপরই দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলো বেশ সরব হয়েছে রাজনৈতিক মাঠে। ইতিমধ্যে নতুন ইসি গঠন এবং সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। এরই সুবাদে তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে যুক্ত হয়েছেন। তার এই সংলাপে এবার যোগ দিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই সময় দলটি রাষ্ট্রপতির কাছে বিশেষ আহ্বান জানালেন।
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তয় আবদুল হামিদকে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) সভাপতি ও তৃণমূল বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা। অন্যদিকে, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) রাষ্ট্রপতির কাছে অনুসন্ধান ও নির্বাচন কমিশনারদের (সিই) নাম প্রস্তাব করেছে। বিএনএ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানান নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বা যেকোনো অদলবদল সংস্থা জাতীয় সংলাপ কর্মসূচিতে সংলাপে নেতৃত্ব দেবে। প্রতিটি আলোচনার সারসংক্ষেপ তৈরি করে জাতীয় সংলাপের ফলাফল জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই সংলাপে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে তার ভিত্তিতেই আইনটি উপস্থাপন ও সংশোধন করতে হবে। এমনকি প্রয়োজনে জাতীয় সংলাপের প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
এনডিএম প্রস্তাব
ইতিমধ্যে, এনডিএম-এর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন একটি অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচনী আইন ও প্রবিধান সংস্কারের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়েছে। এনডিএমের সভাপতি ববি হাজ্জাজের স্বাক্ষরিত চিঠি ও লিখিত প্রস্তাব আজ বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন দলীয় একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করা হয়। এনডিএমের প্রস্তাবিত সার্চ কমিটির সদস্যরা হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইনাম আলী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সরকারের উপদেষ্টা গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী ও হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন। .
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. এনডিএম নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করেছে। নির্বাচনকালীন প্রস্তাবিত সহায়ক সরকারের বিষয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার হবে ৩১ জন সদস্য। এই সরকারের মন্ত্রিসভা অবশ্যই জাতীয় পরিষদে প্রতিনিধিত্বকারী সমস্ত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এই সরকারের প্রধান হবেন সংসদ নেতা। এ সরকারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা সমাজের নেতৃস্থানীয় সদস্যদের মধ্য থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল হুদা। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি সহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।তবে সকল অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে দিয়েই তিনি তার দায়িত্বের মেয়াদ কাল সম্পন্ন করেছেন। এবার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়েছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কমিশন গঠন করা হবে।
1) Justice Iman Ali CEC
2)General Iqbal karim Bhuiyan EC (Retd)
2)Air Vice Marshal M Shafiqul Islam EC (retd)
4)Rear Admiral Awrangazeb Chowdhury EC (Retd)
5) Prof Dr Hossain Zillur Rahman EC (Retd)