বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় কোন সভায় অংশগ্রহন করেনি বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে নির্বাচন গঠন করা হয়েছে তারা সরকারের সুবিধাভুগী ব্যক্তি। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন না এই সরকারের অধীনে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। এবার নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহন সম্পর্কে যা জানানো হল বিএনপি পক্ষ থেকে।
রোববার থেকে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিন দিনব্যাপী সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সংলাপে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সংলাপে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না। আমরা সংলাপে যাব না।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকসহ পেশাজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ করে আসছে।
জানা গেছে, এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে ইসি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রযুক্তিগত দিক যাচাইয়ের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক হবে।
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিন দিনব্যাপী বৈঠক হবে। তারা প্রতিদিন ১৩টি দলের সঙ্গে বসবে। আগামীকাল রোববার (১৯ জুন) এ বৈঠক শুরু হবে। একই দিন জাতীয় পার্টিসহ ১৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ করবে বিরোধী দল। তিনি ২১ জুন বিএনপিসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবেন। আগামী ২৬ জুন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি।
বিএনপি আগে থেকেই নতুন ইসি গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে অংশ নেয়নি দলটি। এমনকি রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতারা। সার্চ কমিটি ইসি গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম জানতে চাইলে তাতে সাড়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, বর্তমান কমিশনের সঙ্গে কোন সংলাপে অংশগ্রহন করবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা কোন নির্বাচন সুষ্ট ও নিরপেক্ষ সম্ভব নয় কারন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।