সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন নবীন ছাত্রীকে অমানুষিকভাবে মা”/রধরের অভি’যোগ উঠেছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার বেশ কয়েকজন সহযোগী একত্রিত হয়ে গনরুমে চারজন নবাগত শিক্ষার্থীদের নি”/র্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন কয়েকজন। যারা সেই নির্যা”/তনের সময় পাশের রুমে ছিলেন তারা ঘটনাটি নিয়ে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণরুমের এক ছাত্রী জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নবীন ছাত্রীকে (ভুক্তভোগী) গনরুমের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে লা”/ঞ্ছিত ও চ’ড়-থাপ্প”ড় দেওয়া হয়। যে কক্ষে নি”/র্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তার পাশের ঘরে আমরা ছিলাম। একটি দেয়ালের ওপর এক হাত পরিমাণ ফাঁকা থাকায় এর মধ্য দিয়ে সব শকথা ও শব্দ শোনা যাচ্ছিল। মেয়েটিকে জোরে জোরে থাপ্পড় মা”/রা হয়। আমরা তার কা”তরানোর শব্দও শুনতে পাচ্ছিলাম। আমাদের ঘরে অনেকেই নি”/র্যাতনের ভ”/য়াবহতা নিতে পারেনি। তারা সেখান থেকে বাইরে চলে যায়। আমরা কেউ কেউ কাঁদতে শুরু করেছিলাম। কিছুক্ষণ বাইরে গিয়ে বসে ছিলাম। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নি”/র্যাতনের পর একজন এসে বলে রুমের বাইরে নিয়ে যেতে।’
পাশের কক্ষে থাকা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অ/’ত্যা”চারীদের একজন অন্য তিনটি কমনরুমের সবাইকে হু”/মকি দিয়ে বলে, ‘কেউ রুম থেকে বের হলে খবর আছে।’ এমনকি ওয়াশরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি। রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে নি”/র্যাত’ন। পরে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা থাকায় সে চেঁ”/চিয়ে বললে নি’র্যা”/তনকারীরা ভু”ক্তভোগীকে হলের ডাইনিংরুমে নিয়ে যান।’
গণরুমের শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, নি”/র্যা”তনকারীদের মধ্যে ছিলেন চারুকলা বিভাগের ছাত্রী হালিমা খাতুন উর্মি, আইন বিভাগের ছাত্রী ইশরাত জাহান মীম ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মুয়াবিয়াসহ কয়েকজন ছিলেন।
অভিযুক্ত মীম বলেন, ” যে সময় নি”/র্যা’তন করা হয়েছে বলে শুনেছি তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি আমার নিজের রুমে ব্যস্ত ছিলাম। তবে আমাকে অন্তরা আপু একটি কাজ করতে বলে আর সেটা হলো মেয়েটিকে ৩০৬ নম্বর কক্ষ থেকে নিয়ে দোয়েল-১ গণরুমে রাখতে বলে। তখন আমি ও উর্মি সেখানে গিয়েছিলাম এবং সেটা করেছিলাম। তাছাড়া আর কিছু নয়।