বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) এবং এর বিতর্কিত নেতা চিন্ময় কুমার দাসের ২০৩টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। এই টাকার একটি বড় অংশ ইতিমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে।
ইসকনের নামে থাকা ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে। অন্যদিকে চিন্ময় কুমার দাসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা, যা প্রায় পুরোপুরি উত্তোলন করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলোতে জমা অর্থের উৎস ও কারা এই অর্থ জমা দিয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছে।
জানা যায়, ৩০ নভেম্বর বিএফআইইউ চিন্ময় কুমার দাসসহ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। একই দিনে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়।
যাদের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো: চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী এবং সজল দাস।
এর আগে, ২৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকনের ১৭ জন সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএফআইইউ।
এই ঘটনা ইসকন এবং এর নেতৃবৃন্দের আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তথ্য উদঘাটনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।