অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ( Sadek Hossain Khokar ) ছেলে ইশরাক হোসেন ( Ishraq Hossain ) বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে বাংলাদেশে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চার সূচনা করেন। বুধবার ( Wednesday ) (১ জুন ( June )) বিকেলে ( afternoon ) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাহমুদপুর ( Mahmudpur Fatullah ) এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ( Ziaur Rahman ) ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদেক হোসেন খোকার ( Sadek Hossain Khokar ) ছেলে ইশরাক হোসেন ( Ishraq Hossain ) বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না। ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। এ রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। এ রাজ্যের সব নাগরিক সমান অধিকার পাবে। মর্যাদা ও সমান ন্যায়বিচার। তবে আজকে একমাত্র সরকারী দল ও তার লেজুড়বৃত্তিই বাংলাদেশের ( Bangladesh ) মালিক হয়েছে। আর আমরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সেদিন আর নেই,বাংলাদেশে আজ গণজাগরণ হয়েছে। বুধবার ( Wednesday ) বিকেলে ( afternoon ) ফতুল্লার মাহমুদপুর ( Mahmudpur Fatullah ) এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ( Ziaur Rahman ) ৪১তম শাহাদত ( Martyrdom ) বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা সভা ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইশরাক হোসেন ( Ishraq Hossain ) বলেন, বর্তমান সরকার জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তিনটি নির্বাচনে ভোট না দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রে কারসাজি করে তারা ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা খুলে দিয়েছিলেন। তিনি বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই সরকার আজ জিয়াউর রহমানের কবর স্থানান্তরের মতো মন্তব্য করেছে। এটা আমাদের কষ্ট দেয়। ইশরাক হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানই একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি সীমান্তের ভেতরে, বাঙ্কারের ভেতরে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা কৌশলগত কারণে সীমান্তের ওপারে অবস্থান নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে জিয়াউর রহমান মাঠে ছিলেন না, তার খেতাব ছিনিয়ে নেওয়ার দুঃসাহসিকতা এতে দেখা যায়। গুম-খুনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। এসময় ফতুল্লা থানা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে সম্প্রতি সময়ে আটক হয়েছিলেন পুলিশের কাছে। দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মতিঝিলে লিফলেট বিতরণকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি রোধে সরকারের ব্যর্থতা এবং ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই কর্মসূচি পালন করেছিল। জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় ইশরাক হোসেনকে আটক করা হয়েছিল। ইশরাকের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।