আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির মাঠ গরম করতে সক্রিয় হয়েছেন। এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করছে সরকার বিরোধী দলগুলো, যার মধ্যে অন্যতম হলো বিএনপি। তবে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যে এবার ধুয়ে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনে জয়ী হলেই নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়।
আজ সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি, বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আন্দোলন করবেন আর ব্যর্থ হলে নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগ? আপনাদের আন্দোলন কোথায়? আন্দোলনে সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনোদিনও দেখা দেবে না। ষড়”যন্ত্র করে কাউকে হ’/’ত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর ধরে কত মাস, কত সপ্তাহ, কত দিন ধরে পদ্মা মেঘনায় পানি দেখা গেলেও ফখরুল সাহেবের আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা যায়নি। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি দূরস্থ এখনও অনেক দূরে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হ’/’ত্যাকাণ্ডে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে হ”/ত্যার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়য”ন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া সব তথ্য সম্বলিত শ্বেতপত্র প্রকাশ এখন সময়ের দাবি। শ্বেতপত্র প্রকাশ একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অনুশীলন। এটা এজন্য যে সাধারণ মানুষ যাতে জানতে পারে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল।
ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ছাত্রলীগ চেয়েছিলেন সেই ছাত্রলীগ হওয়ার চেষ্টা করুন। তোমাদের হাতে বই, খাতা আর কলম দেখতে চাই। ক্লাসরুম এবং লাইব্রেরিতে তোমাদের উপস্থিতি দেখতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে পারিনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরীরে একটি ফুলের আঁচড়ও পড়তে দেব না।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার টিকটক বয় ইশরাক বলেছেন, সে নাকি ছাত্রলীগকে গোনায় ধরে না। ইশরাককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আরে বেটা তুই তো ছোট বাচ্চা। তোর মরহুম আব্বার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তোর আব্বাকে জিজ্ঞেস কর ছাত্রলীগ কী জিনিস? তুই তো মূর্খ মানুষ। টিকটক বাদ দিয়ে মাঠে আয়। মাঠে খেলা হবে আর ঢাবি ছাত্রলীগ সেখানে স্ট্রাইকারের ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় যুবসমাজকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কোনো অপশক্তি মাঠে না এসে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে ষড়য”ন্ত্র করতে পারে। এ সময় তিনি বলেন, ষড়য”ন্ত্র যেই করবে তাকেই মাঠে প্রতিহত করা হবে।
বক্তব্য রাখেন বিএইচএ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বিএইচএ-এর সাধারণ সম্পাদক ভট্টাচার্য। এ সময় টিএসসি মিলনায়তন ছিল ছাত্রলীগের কর্মী ও বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় পূর্ণ।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর দ্রব্যমূল্যরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। আর এই বিষয়টির কারণে প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক মাঠে। এটাকে বড় ধরনের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার বিরোধী দলগুলো কিন্তু আ.লীগও তাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে ছাড়ছে না।