ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ। এই মামলাটি দায়ের হওয়ার পর তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নাজুক পরিস্থিতিতে পরেন। বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের ওপরও হাম”লার ঘটনা ঘটে যেখানে অভিযুক্ত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমতিয়াজ হাসান জনী। তিনি ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইশরাক হোসেন জানান, সোমবার রাতে রাজধানীর স্বামীবাগের বাসা থেকে জনিকে নিয়ে যায় পুলিশ। ফে”সবুক পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাম”লার ঘটনায় ওয়ারী থানা পুলিশ এসে মামলার বাদীকে গ্রেফতার করেছে।
ইশরাক ফে”সবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। দেখা যায়, কয়েকজন মিলে পুলিশ ভ্যান আটকানোর চেষ্টা করছে। ভ্যান চালককে ঘন ঘন হর্ন দিতে দেখা যায়, একটু ফাঁক পেতেই পুলিশের গাড়িটি জোরে টান দিয়ে বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগে পুলিশের গাড়ি ভা”ঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জনির স্ত্রী শাহনাজ মুক্তা দাবি করেন, রাত ৮টার দিকে ওয়ারী থানার শামসুল আলম নামে এক পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে যান। তিনি জনিকে তার সাথে যেতে বলেন, তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি জনির কেস নিয়ে কথা বলতে চান।
স্ত্রী জানান, জনি তার সঙ্গে কোথাও যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মো. বুলবুলের বাসার নিচে গিয়ে কথা বলতে রাজি হন। বুলবুলের বাসায় যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই পুলিশ জনিকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।
জনির গ্রে’প্তারের খবরে ছুটে আসেন বিএনপি নেতা ইশরাক। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশের ভ্যান জনিকে নিয়ে চলে গেছে বলে জানান মুক্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শেষ দিকে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতা ইশরাক লিফলেট বিতরণ করছিল। সেই সময় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে, তিনি যে গাড়িতে ছিলেন সেটার মাঝে থাকা অবস্থায় তাকে মা”রপিট করা হয়। এই ঘটনার জেরে ইশরাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।