Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে এবার রাজনৈতিক দলগুলোকে তৈমূরের নতুন পরামর্শ

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে এবার রাজনৈতিক দলগুলোকে তৈমূরের নতুন পরামর্শ

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন শেষ হয়েছে যা নিয়ে চলছিল সারা বাংলাদেশের তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অভিযোগ করেছিলেন সেখানকার বিরোধী প্রতিদ্বন্দী তৈমূর আলম। এরপর এক নানান বিষয় নিয়ে তিনি কথাও বলেছেন। অভিযোগ করেছেন নানান বিষয় নিয়ে তার মধ্যে তার অনুসারীদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযুক্তই বেশি ছিল। তবে এবার ইভিএম ভোট নিয়ে দিলেন আর এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য। রাজনৈতিক দলগুলোকে ইভিএম ভোট না দেওয়ার পরামর্শ তৈমূরের।

জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।

যারা নৌকার বিজয়ের জন্য এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি মনে করি না কোনো রাজনৈতিক দলের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচনে যাওয়া উচিত। আমি সব সময় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পাশে থাকব।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই আমার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। কেউ ড্রাইভার, কেউ কায়াক অপারেটর। কেউ পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে ছিলেন। কেউ রিকশা প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। রাত ১টা পর্যন্ত তারা আমার বাসায় অবস্থান করে। আমাকে তাদের কাজ বুঝিয়ে রাত ১টার দিকে চলে গেলে তাদের আটক করা হয়। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পুলিশ এসব লোককে আটক করে আমাকে মিথ্যা অবস্থানে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, চালকের নাম ও গাড়ির নম্বর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। আমার প্রধান এজেন্ট এটিএম কামালের গাড়ি। গাড়ি, টাকা-পয়সা ও কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে পরে ফেরত দেন। শুধু নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য তারা এতদিন এসব মানুষকে হয়রানি করে আসছে। নিরপেক্ষ থাকবেন জেলার এসপি, ডিসি মো. কিন্তু এই এসপির নেতৃত্বে আমার লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং ২০০ জনের বাড়িতে অভিযান চালায়। হাতির ব্যাজ পরা লোকটিকে নির্বাচনের দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
নৌকাডুবির ঘটনায় সরকার ও তার সংস্থাগুলোর ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। অত্যাচারের মধ্যেই নির্বাচন করেছি। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দেওয়ার কথা বললেও দেননি। আজ তারা জামিন পেয়েছেন।

যদিও এসব মন্তব্যের ভিত্তিতে এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। যেহেতু ইভিএম ভোট চালু করেছে সরকার দল আওয়ামী লীগ সেহেতু তাদের কাছ থেকে অবশ্যই কোনো উত্তর আশা করা যায়। তৈমুর আলম এর অনুসারীদেরকে গ্রেপ্তার করার নিয়ম নানান মন্তব্য তৈমুরের তবে এসবের অভিযোগে অবশেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার অনুসারীদেরকে। তবে তৈমুরের আক্ষেপ সময়মতো ছাড়া হয়নি তাদেরকে। যদিও নির্বাচন শেষ হয়তো এখন এসব বিষয়গুলো আস্তে আস্তে ধামাচাপার পথেই চলে যাবে। এখন দেখার বিষয় এ নিয়ে পরবর্তীতে নতুন কোন খবর মেলে কিনা।

About Ibrahim Hassan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *