Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Entertainment / ইলিয়াস সবার কাছ থেকেই ডলার এবং টাকা চাইতো: সুবাহ

ইলিয়াস সবার কাছ থেকেই ডলার এবং টাকা চাইতো: সুবাহ

সম্প্রতি, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে আলোচিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল হুমায়রা সুবাহ। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ক্রিকেটাঙ্গন থেকে শুরু করে, সঙ্গীতাঙ্গন পর্যন্ত সবখানেই রয়েছে তার প্রেমের বিচরণ। সেই প্রেম রীতিমতো গড়িয়ে ছিল বিয়েতে। অথচ বিয়ের মেহেদী ( Mehedi ) মলিন না হতেই, পরিণয় হল বিচ্ছেদের। সুবাহ অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, তার প্রয়ান হলে ইলিয়াসের পরিবার দায়ী।

শোবিজের জনপ্রিয় নাম শাহ হুমাইরা ( Shah Humaira ) সুবাহ। ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর ফে”সবুক লাইভে রাতারাতি পরিচিত হন তিনি। কিন্তু সেই দুঃখ ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করেন। সুবাহ পরবর্তীতে বেশ কিছু নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। গত ( Past ) বছরের শেষ দিকে সুবাহকে বিয়ে করেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন। তাদের বিবাহিত জীবনের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, বিচ্ছেদের সুর ম্লান হয়ে যায়। এরপর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন সুবাহ। এমনকি গায়কের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছেন তিনি। এরপর সুবাহারের ( Subahar ) বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন ইলিয়াস। তাদের দাম্পত্য কলহ এখন চরমে পৌঁছেছে। দুজনের লড়াই এখন আদালতে।

গত ( Past ) সোমবার (১৪ মার্চ ( March )) সুবাহকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। ইলিয়াস হোসেনের ( Elias Hossain ) মামলায় তিনি জামিন পান। ওই দিন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ( Jahangir Hossain ) নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অভিনেত্রীকে জামিন দেন। সুবাহের জামিনের পরদিন গণমাধ্যমে খবর আসে, ইলিয়াসের আগে গাইবান্ধার ( Gaibandha ) একজনকে বিয়ে করেছিলেন সুভা। এ বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন বলেন, সুবাহ আমাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁ”সানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সে এর আগেও আমার মতো অনেককে ফাঁ”/সি দিয়েছে। ওর আগের বিয়ের খবর শুনেছি। তিনি এসব কথা গোপন রেখেছিলেন। আমি তার সাথে আর সংসার করতে চাই না। এজন্য আইনি সহায়তা নিয়েছি।

এদিকে জামিন পাওয়ার দুদিন পর সুবাহ তার আগের বিয়ে ও নিরাপত্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছেন। বুধবার (১৬ মার্চ) তার ফে/’সবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আমি প্রয়াত হলে বা নিখোঁজ হলে দা’য়ী ইলিয়াস ও তার পরিবার। “সুবাহ লিখেছেন, ইলিয়াস নিজেই আমার আগে তিন-চারবার বিয়ে করেছেন। সংবাদপত্রে সব খবর ছাপা হয় এবং তিনি সবার কাছে ডলার ও টাকা দাবি করেন। তার ১ম স্ত্রী নিশাত তাবাসসুম আলম, আমেরিকা প্রবাসী, সব জায়গায় বলে। আমি তার দ্বিতীয় সুইডিশ স্ত্রী এবং তার মায়ের সাথে কথা বলেছিলাম, যিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে অর্থ চেয়েছিলেন। আমার কাছে এসবের রেকর্ড আছে।

নিজের বিয়ে প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন,আমি যদি আগে বিয়ে করে থাকি, তাহলে আমার বিয়ের আগের সার্টিফিকেট থাকতে হবে? ক্যাবিনেট লেটার বা রেজিস্ট্রি পেপার ছাড়া বিয়ে করা যাবে না। এসব পরস্পরবিরোধী মিথ্যাচার প্রচার করে তিনি আমার দেওয়া মামলা এড়াতে চান। যেন আমি মামলা করিনি এবং তিনি স্ট্যাম্প ডিউটি ​​না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি জানি সে একজন মহিলা এবং টাকার লোভী একজন পুরুষ, তাই আমি সবাইকে বলেছিলাম এবং টাকা চেয়েছিলাম। আর এটাই আমার দোষ!

তিনি আরও বলেন, এতদিন পর নাটক সাজানো হচ্ছে! এত কম টাকা কাবিননামায় ঝুলিয়ে আমার আগের তিন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করব কী করে, দেনমোহর? আমি যদি ফাঁ”সি দিয়ে বিয়ে করতাম তাহলে মূল্য হতো ৭৭ লাখ টাকা। শুধু ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা হতো না। তিনি দোষী কি না তা আদালতে প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ। এবং আমার ১০০টি বিয়ের কথা বলা আমাকে ভাইরাল করতে পারে, কিন্তু আমি মামলা থেকে বাঁচতে পারি না।

সর্বশেষ এই অভিনেত্রী তার নিরাপত্তা নিয়ে বলেন, “আমার কোনো ধরনের ক্ষতি হলে এবং আমি প্রয়াত হলে বা আমি নিখোঁজ বা হারিয়ে গেলে এর জন্য ইলিয়াস হোসেন ও তার পুরো পরিবার দায়ী থাকবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি আমাকে সবসময় ভয় দেখান, বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। আমি খুবই ভেঙে পড়েছি।

প্রসঙ্গত, সুবহা জানান, একটা মেয়েকে এই সমাজে কিভাবে লাঞ্চিত করার পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যারা পড়েছে শুধু তারাই জানে। আমি নাকি, চার বাচ্চার জননী। আমি নাকি ১০০ উপরের ছেলের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্কে জড়িয়েছে। একজন মেয়েকে সাহায্য করতে না পারেন, ক্ষতি করেন না। গণমাধ্যমকে একথা জানান তিনি। আরো বলেন সময় সব কিছু বলে দিবে।

 

About bisso Jit

Check Also

অবশেষে তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *