আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করছে নির্বাচন কমিশন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন কমিশন যে সব পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ তার একটি অংশ। কমিশন নির্বাচন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলেন। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থাকায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু করার নেই রাজনৈতিক ভাবে এটির সমাধানের পরামর্শ দেন কমিশন। ৩০০ আসন ইভিএম চেয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে যা বলা হল।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোট কারচুপি বন্ধে ইভিএমের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই ইভিএম চায়।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এ সংলাপ শুরু হয়।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। ৩০০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। ভোট ডাকাতি, কারচুপি বন্ধে ইভিএমের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন ও কমিশনকে অকার্যকর করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলো ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের রাজনীতি করা হয়েছে।
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কোনো সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে সরকারের করার কিছু থাকে না।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে ইভিএমের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে দলটি। নির্বাচনে কোনো সরকারের অধীনে হবে না হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক।