আলোচনার শীর্ষে থাকা মুরাদ হাসান এর সাথে চিত্রনায়ক ইমন এবং চিত্রনায়িকা মাহির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই এখন আলোচনার শীর্ষে চিত্রনায়ক ইমন। তাকে কেন্দ্র করে এখন রহস্যের শেষ নেই। কারণ সেই ফোনালাপের বিষয় ইমনই সব থেকে ভালো জানতো। তাই এবার র্যাব সদর দপ্তরে চিত্রনায়ক ইমন কে ডাকা হল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেখান থেকে উঠে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। টানা প্রায় ৫ ঘন্টা যাবৎ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব তারপর তাকে ছেড়ে দেয়।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে কুর্মিটোলায় অবস্থিত র্যাব সদরদফতর থেকে বের হয়ে যান।
রাতে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে র্যাব সদরদপ্তরে ডাকা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রয়োজনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকেও র্যাব সদরদপ্তরে ডাকা হতে পারে।
এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে দুই দফায় রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ফোনালাপের বিষয়ে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহি ও মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। সেই ফোনে অশ্লীল-আপত্তিকর ভাষায় মাহির সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। নিজের অনৈতিক ইচ্ছার কথা জানান। এমনকি চিত্রনায়িকাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
এসব ঘটনায় এরই মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তার পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্রটি জমা দেন।
এদিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদকের পদে ছিলেন।
ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনেক তথ্য পাওয়া গেলেও সেগুলো এখনো গণমাধ্যমে প্রকাশ করেনি র্যাব। এইদিকে ইমনকে ছেড়ে দেওয়ার পর ইমনের কাছ থেকেও তেমন কোনো কথা শোনা যায়নি। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে হয়ত তার সব মনে না থাকা বা ক্লান্তি কাজ করায় সাভাবিক। এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও বাকি পদ গুলো থেকে তাকে বাদ দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে রয়েছে সন্দেহ।