গ্রাহকদর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর খানেক আগেই আলোচনায় আসে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান। নানা আকর্ষণীয় পণ্যের লোভে পরে ইভ্যালির ফাঁদে পা দিয়ে রীতিমতো নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। তবে ইভ্যালির গ্রাহকের জন্য এবার এলো বড় সুসংবাদ।
আবারও সচল হচ্ছে ইভ্যালি। ইতিমধ্যে, গ্রাহক/বণিকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ইভ্যালির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টও করা হয়েছে। সর্বশেষ সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিটিভিতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন।
মাহবুব কবির মিলনের বক্তব্যটি ইভেলির পাতায় উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা পাঠকের জন্য উদ্ধৃত করা হলো:
মাহবুব কবির মিলন লাইভকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, ইভ্যালি আদালতের তত্ত্বাবধানে চলবে, যার মধ্যে একজন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন, একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং অন্যটি ই-ক্যাব থেকে। তাই আগের ইভ্যালি আর এখনকার ইভ্যালি এক নয়, তাই এখানে কোনো জটিলতা নেই। ইভালি যদি সততা, স্বচ্ছতা এবং অর্থায়নের সাথে এটি করে তবে আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বিক্রেতা এবং ভোক্তাদের অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং তাদের সাহায্য, সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে ইভালিকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।
কাগজে-কলমে ব্যাংকিং খাত ও গেটওয়ে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখানে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৫২ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩ টাকা। আর একটি প্রশ্ন যা আমরা গত ১১ মাস ধরে মোকাবেলা করছি তা হল রাসেল সাহেব কবে মুক্তি পাবেন। এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে জামিন পেতে হবে। কিন্তু ইভ্যালির পুরোপুরি শুরু করতে রাসেলকে দরকার, সেটি যখনই হোক।
তবে ইতিপূর্বে গ্রাহকদের সঙ্গে ইভ্যালি যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাতে করে ইভ্যালির ওপর গ্রাহকদের আস্থা আগের মতো আছে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে নানা কৌতূহল।