নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের জন্য আহ্বান জানায়, যার মধ্যে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিও ছিল। তবে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাথে কোনরকম সংলাপে বা বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি। তবে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে বসেছে। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইভিএম এর পক্ষে মত দেয়নি। এবার এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল ও গোপনে সিল মারার অপসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে বিএনপি ইভিএমকে ভয় পায়।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামসহ সংগঠনের পরিচালকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ডাঃ হাসান বলেন, প্রথমত, জোর করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না, জোর করে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারে না। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন তারা জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথাও ভাবেন না। যদিওবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। ব’/ন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তিনি। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন এবং জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন। জনগণের রায়ে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আছে, আমরা টানা তিন নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছি।
গত নির্বাচনে বিএনপি ডান-বাম, অতি-ডান, অতি-বাম সবার সঙ্গে জোট গঠন করেছিল এবং বিএনপি পাঁচটি আসন পায় বলে জানান সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু ইভিএম নয়, বিএনপি সব সময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন একদম বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং তিনি বলেছিলেন যে এটি স্থাপন করা হলে বাংলাদেশের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। এ কথা বলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই সাবমেরিন কেবল পরে আমাদের কয়েকশ কোটি টাকা খরচ করে বসাতে হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বের সব উন্নত দেশে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এমনকি মালয়েশিয়াতেও হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি জানিয়েছে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট হলে কারচুপি হব। তবে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না এমনটাই জানিয়েছেন। যেখানে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এদিকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।