পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউপি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতার বিভ্রান্তমুলক বক্তব্যে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছে। এবিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গনমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ্য থেকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে সেই নেতাকে পাওয়া যায়নি।
ইভিএমে ভোট হবে, কিন্তু কে কোথায় ভোট দেবে তা আমাদের কাছে চলে আসবে। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই, টেনশনের কিছু নেই’- সম্প্রতি এমন বিতর্কিত বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আসন্ন উপ-নির্বাচনের প্রচারণার সময় তিনি এ বিতর্কিত বক্তব্য দেন। শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তন্তেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এক উঠান বৈঠকে জোবায়দুল হক রাসেল এসব কথা বলেন। এ সময় তার পাশে বসেছিলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক। ফে// সবুকে ভাইরাল হওয়া ওই বক্তব্যের ভিডিওতে জোবায়দুল হক রাসেলকে এ মন্তব্য করতে শোনা যায়। আওয়ামী লীগ নেতার এ বক্তব্য নিয়ে সর্ব মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। নির্বাচনী কর্মকর্তারাও বিব্রত বোধ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান বলেন, ইভিএসে ভোট নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এর আগে সুলতানাবাদে তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নে এক উঠান বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তালুকদার মো. জাহাঙ্গীরও বিতর্কিত বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, আপনার দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। যেহেতু বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, আপনি যদি ওই দলের সমর্থক হন, তাহলে আপনিও নির্বাচন বর্জন করেছেন। আর যদি মনে করেন নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন না একেবারেই, ইব্রাহিম ফারুককে পরাজিত করতে হবে, নৌকা থামাতে হবে। তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে দেবো, আর মাত্র তিন-চার দিন আছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে সকল বন্ধুরা নৌকায় ভোট না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন, তারা দয়া করে আপনার দলীয় নির্বাচন বর্জন করেছেন, আপনিও নির্বাচন বর্জন করেছেন, কিন্তু আমরা ভোটের দিন আপনাকে দেখতে চাই না।
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনে আ:লীগের মনোনিত প্রার্থীর প্রচারনা সভায় উঠান বৈঠকে অংশগ্রহনের সময়ে দলীয় এক নেতার বিভ্রান্ত মুলক একটি বক্তব্যের ভিডিও এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ইভিএমে ভোট হবে, কিন্তু কে কোথায় দেবে সেটা আমাদের কাছে আসবে। এমন বক্তব্যের ফলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও অনেকটা বিব্রত বোধ করছেন। এবং এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহনের কথাও জানিয়েছেন তারা।