দেশের রাজনৈতিক দলগুলো আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তবে শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে তাদের সকল ধাপগুলো সম্পন্ন করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন বিষয়ে সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ইভিএম মেশিন গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু সে বিষয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “ঢাকার কিছু নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে। আমরা ইভিএমের পক্ষে এবং এটি জোরালো ও স্পষ্ট।’
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইসিকে অবশ্যই দায়িত্বশীল নিরপেক্ষতা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি ইভিএমে ভোটিং ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোটের বিপক্ষে কথা বলেছে। তাই নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে অনেকটা চিন্তায় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ইভিএম মেশিন নিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলগুলোও দ্বিমত জানালেও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে ঠিক কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিবে সেটা এখন সময়ের ব্যপার।