সম্প্রতি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে গিয়ে নানা ধরনের ভুগান্তীর শিকার হচ্ছে ভোটররা। ভোট চলকালিন সময় ভোটাদের দীর্ঘ লাইন হলেও ইভিএম জটিলতার কারনে ভোট দিতে সমস্যায় পড়ছে তারা। এ জন্য ভোট দেওয়ার উৎসাহ কমতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। ইভিএম মাধ্যমে ভোট গ্রহনে ধীর গতি ও আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট প্রদানে বেশ ঝামেলাপূর্ন হয়ে উঠেছে ভোটাদের নিকট। ভোটারা আঙুলের ছাপ মেলানোর জন্য যে কৌশল গ্রহন করছে সে বিষয় যা জানাগেল।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঠাকুরগাঁও রানীশাঁকোইলে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সকাল আটটা থেকে ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ইভিএমে ধীরগতি ও হাতের ফিঙ্গার না মেলায় ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পোলিং এজেন্টরা পরামর্শ দিচ্ছেন- ফিঙ্গার মেলানোর জন্য পাকা স্থানে আঙ্গুল ঘষে আবারো কেন্দ্রে আসতে। রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ভোটকেন্দ্রের পাশের টিউবওয়েলে আঙুল ঘষছেন ভোটার সায়মা আক্তার। চেষ্টা করছেন ইভিএমে ফিঙ্গার মেলানোর।
সায়মা আক্তারের মতো জিল্লুর রহমানসহ আরও কয়েকজন আঙুল ঘষে ফিঙ্গার মেলানোর চেষ্টা করেন। এ উপজেলায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন প্রান্তিক মানুষ, ফিঙ্গার নিশ্চিতে করা নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন অনেকে।
এ দফায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাঁচোর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১২৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখানে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১ হাজার ৫৩৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২৯ হাজার ৬১০ জন।
এ তিনটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে।
জেলার সবকটি ইউনিয়নের মধ্যে এই তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাকি ছিল।
প্রসঙ্গত, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে নানা রকম সমস্যায় পড়ছে সাধারন ভোটাররা। এর মাধ্যমে ভোটারদের আগ্রহ কমে সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।