সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিন্তু এই ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট কারচুপি ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি করেছে বিএনপি তবে ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণে কোনো কারচুপি হবে না কেমন ধরনের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা তবে এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এর মাধ্যমে নির্বাচন হলে ভোটাররা সমস্যায় পড়বেন এমন কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির কারণে ভোটাররা সমস্যায় পড়বেন।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম আসলে কুমিল্লায় প্রথম তাই ভোটারদের সমস্যা হবে, অবশ্যই সমস্যা হবে। তাই নির্বাচন কমিশনকে বলবো, ভোটারদের সহযোগিতার জন্য। যেহেতু আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী তাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না।’
মঙ্গলবার বিকেলে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রিফাত এ কথা বলেন।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, যারা কেন্দ্রে (ভোট কেন্দ্র) থাকবেন তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন।
এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে দু-একজন কমিশনার নিয়োগ করা উচিত বলেও মনে করেন রিফাত।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামীকাল বুধবার। এ উপলক্ষে কেন্দ্রে ইভিএম পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে কেন্দ্রে ইভিএম বিতরণ করা হয়। সকাল থেকে ট্রাকে করে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
সিটি নির্বাচনে ১০৫টি কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬৪০টি বুথ রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত, বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বহিষ্কৃত দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
মনিরুল হক সাক্কু পর পর দুইবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১১ হাজার ভোটে পিছনে ফেলে জয়ী হন। এর আগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেই সময়েও তিনি জয়ী হন।