বাংলাদেশের ( Bangladesh ) নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। বিগত ( Past ) ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরেপক্ষ হয়নি বলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক আছে। আর রিরোধী দল বিএনপি ( BNP ) দলীয় সরকারের ( government ) অধীনে নির্বাচন যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট হওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের জন্ম নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। এবার ইভিএম সম্পর্কে যা বলছেন সাবেক নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ( KM Nurul Huda ) বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কিছু ভুল আছে। শনিবার সকালে ( Saturday morning ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন ( Bangladesh Film Development Corporation ) (এফডিসি ( FDC )) আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হুদা বলেন, ইভিএমে একটি জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। ব্যালট ইউনিটকে প্রযুক্তির আওতায় আনা যায়নি। এটা জটিলতার জন্য। এখানেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেম থাকলে ভালো হতো। ভবিষ্যতে এর ব্যবস্থা করা হতে পারে। তবে পোলিং এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসন সতর্ক থাকলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব। সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা গেলে এই সমস্যাও এড়ানো যাবে। এমন চ্যালেঞ্জ আসবেই, এর সমাধান করতেই হবে বলে জানান তিনি।
নুরুল হুদা বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না।
এ সময় বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা ইসির (নির্বাচন কমিশন) জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে কমিশন চাইলে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে এক অস্বস্তি নিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই সিইসি। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি। যাইহোক, জাতীয় নির্বাচনের সময়, কোথাও কোথাও ১০০% ভোট পড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এ সময় তিনি প্রার্থীদের এ সমস্যার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে অনেক রাজনৈতিক দলের দ্বিমত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ইভিএম মাধ্যমে ভোট হলে ভোট কারচুপি হবে। ইভিএমে মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে হবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক সিইসি প্রধান নরুল হুদা।