আওয়ামীলীগ সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে নিজেদের একনায়কতন্ত্রের রাজত্ব কায়েক করেছে। একটি দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করে থাকে কিন্তু সরকার সেই রাস্তা বন্ধ করে তাদের স্বাধীনতা হরন করেছে। দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করে সরকার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তার মাসুল দিচ্ছে দেশের জনগণ। পররাষ্ট্রী মন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে কোন পথে এগোচ্ছে এ প্রসঙ্গে পিনাকী ভট্টাচার্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পাঠকদের জন্য সেটি নিচে তুলে ধরা হল।
যতোদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ”
এই “পথ” আসলে কোনটা? সেটা মোমেন গতকাল বলে দিয়েছে। পথটা হচ্ছে, বাংলাদেশকে ফিজিক্যালি না হলেও ভার্চুয়ালি অখন্ড ভারতের অংশ বানানো।
বাংলাদেশে কে ক্ষমতায় টিকে থাকবে সেটা স্থির হবে জনগনের ভোটে নয় দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের তাও মমতাকে ভোট দিয়ে নির্বাচনের ক্ষমতা আছে। কেন্দ্রীয় সংসদে ভোট দিয়ে কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি পাঠানোর ক্ষমতা আছে। আপনার আমার সেটাও নাই।
অথচ কী আশ্চর্যের কথা, আমরাই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট জনগন। আমাদের চোখের সামনে থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব হারিয়ে গেলো, আমরা যে কিছুই করতে পারলাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া হলো কতো সস্তায়। ওইযে হাসিনার আমলে লুট হয়ে যাওয়া সাড়ে পাচ লাখ কোটি টাকা? ওটাই বাংলাদেশের দাম। এই দামেই হাসিনা বেচে দিয়েছে বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার কাছে।
মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশকে ফিরে কেড়ে নিতে হবে। মুল্য চুকাতে হবে অনেক। কিন্তু কোন উপায় নেই। হাসিনার লাঠিয়াল ফেইল করলে ইন্ডিয়ান আর্মি ঢুকাবে হাসিনা, সেই ব্লাংক চেক মোমেন দিয়ে আসছে দিল্লিকে।
“হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকায়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, তাই যেন ভারত করে”।
শৃংখলমুক্তির এই দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিন প্রিয় দেশবাসী। আমাদের ভয় কী? পায়ের দাসত্বের শিকল ছাড়া আমাদের হারানোর কিছু নাই। কিন্তু জয় করার জন্য আছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।
প্রসঙ্গত, দেশে ক্ষমতায় টিকে থাকতে কোন পথে যেতে চায় আওয়ামীলীগ সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটির প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তার বক্তব্যের মাধ্যমে আবারও প্রকাশ হলো দেশ আসলে কোথায় যাচ্ছে জানালেন তিনি।