প্রযুক্তি ব্যবহারের অন্যতম একটি মাধ্যম ইন্টারনেট ব্যবস্থা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার দেশে ইন্টারনেটের গতি এবং দাম সেবাগ্রহীতাদের হাতের নাগালে রাখার তাগিদে বিশেষ ভাবে কাজ করছে। এরই লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্রডব্যান্ড সেবায় গ্রাহকদের বিলের বিষয়ে নতুন শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের (আইএসপি) জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। এই নির্দেশনায় ব্রডব্যান্ড সেবায় গ্রাহকদের বিলের বিষয়ে নতুন শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি। বিটিআরসির নতুন শর্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ব্রডব্যান্ড সেবা টানা ৩ দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই মাসে কোনো বিল নিতে পারবে না ইন্টারনেট সেবাদাতারা।টানা একদিন বিচ্ছিন্ন থাকলে মাসিক বিলের ৫০ শতাংশ ও টানা দুই দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫ শতাংশ নিতে পারবে ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
নির্দেশনায় বিটিআরসি বলেছে, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। গত জুন মাস থেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাসিক ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিআরসি। সে অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) গতির ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মূল্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গোটা বিশ্ব জুড়ে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সেবার ব্যবহার ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিশ্বের অনেক দেশের সেবার মানের দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্যে এই সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।