আগামী ৫ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই দেশের প্রতিটি প্রান্তে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো এবং দাম কমানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ফেনী পিটিআই স্কুল মাঠে ‘হার পাওয়ার প্রজেক্ট’-এর আওতায় তিন জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এরই মধ্যে প্রতিটি জায়গায় ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও দাম কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী ৫ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো হবে। এছাড়াও আমরা প্রতিটি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী 4G গতি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড সংযোগ সারা দেশের বাড়িতে বাড়িতে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব না। সবাই বিদেশও যেতে পারবে না। এ জন্য আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে ঘরে বসে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা যায়।
পলক আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। যা ১৫ বছর আগে ছিল ৫৬ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এ সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আগে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না। এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ২ মিলিয়ন চাকরি রয়েছে।
এরপর ফেনীতে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক যুবশক্তি তৈরির বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা মেয়েদের, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছেলেদের ফিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জেলায় ১১৪টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে। এখানে আরও ১০০টি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
বক্তব্য শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং উপস্থিত অতিথিবৃন্দ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের রেট পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।