ছেলে নিজের কাজের জন্য গ্রামের বাইরে থাকে। সেখানেই পরিচয় একটি মেয়ের সাথে। দীর্ঘদিন সম্পর্ক করার পরে একপর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিয়েও করে। যেহেতু পরিবার থেকে দুজনেই বাইরে থাকে তাই তাদের বিয়ের বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকে আড়াল করে প্রায় এক বছর সংসার করে তারা। একপর্যায়ে ছেলে গ্রামে চলে আসে এবং নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে সবার সামনে অস্বীকার করে। তারপরে বেধে যায় লঙ্কাকাণ্ড।
সাড়ে তিন বছরের প্রেমের পর বিয়ে করেন সবুজ-ইতির। বিয়েও করেছেন দেড় বছর। সম্প্রতি স্বামী সবুজ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন। এ কারণে ইতি তার বাড়িতে এসে স্বীকৃতি দাবি করেছে।
শুক্রবার বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোঃ সবুজ হাওলাদার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভুতেরদিয়া (নিমতলা) গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে। এ সময় সবুজের পরিবারের লোকজন ইতিরের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি আত্মরক্ষার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ভিকটিম আইরিন আক্তার ইতি জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে সবুজের সঙ্গে তার সম্পর্ক। কয়েক বছর আগে আমরা বিয়ে করে মাদারীপুরে একটি ভাড়া বাসায় সংসার করি। বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ের কথা অস্বীকার করে আসছেন সবুজ। তার পরিবার তাকে মেনে নেবে না এই অজুহাতে সে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে সবুজের বাড়িতে এসে স্বীকৃতি দাবি করছি। সবুজের পরিবার আমাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছে।
সবুজের বাবা ইউসুফ হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। এসব বিষয়ে তিনি আমাদের কিছু বলেননি। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছেলের বাড়িতে মেয়ের উপস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে ছেলের পরিবার। এলাকাবাসীর ভিড় জড়ো হতে শুরু করেছে ছেলের বাড়িতে। তবে ছেলের বাবা বিষয়টিকে সমাধান করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন গন মাধ্যমে।