যশোরের বেনাপোল পৌরসভার পোড়াবাড়ি গ্রাম থেকে স্বপ্নদ্রষ্টা মোকসেদ আলী (৫০) নিজ চোখে পদ্মা সেতু দেখতে সাইকেলে রওনা হন। মোকসেদ আলী নামের এই স্বপ্নদ্রষ্টা পোড়াবাড়ি গ্রামের মৃত পাটলাই সরদারের ছেলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালির স্বপ্ন ও আবেগের এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান তিনি। তিনি তার ব্যবহৃত পুরাতন সাইকেল নিয়ে রওনা দেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পদ্মা সেতুতে, যা আবারো বিশ্বের বুকে দৃশ্যমান হয়।
জানা গেছে, ২০ জুন সোমবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য রওনা হন মোকসেদ। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর কাছে সাইকেল চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বেনাপোলের নাগরিক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ফারুক হোসেন উজ্জ্বল বলেন, এই সেতুটি শুধু বেনাপোলের মানুষের নয়, সকল বাঙালি ও বাঙালির এক অদম্য স্বপ্ন। ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ উদ্বোধন হলো কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন। এই সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা লাখো মোকসেদ এর জ্বলন্ত উদাহরণ। বেনাপোলবাসীর পক্ষ থেকে আমি তার মঙ্গল কামনা করছি এবং তার স্বপ্ন পূরণ করে সহি-সালামে ফিরে আসুক।
বুধবার (২২ জুন) সকালে মোকসেদ আলী মুঠোফোনে বলেন, আমি আমার স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে আছি। তার পুরনো সাইকেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাইকেলটি পুরনো হলে কী হবে? পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু বলতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দিনের স্বপ্ন আমার নিজের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু সামনে দাঁড়িয়ে নিজ চোখে দেখার। প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলতে চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অশিক্ষিত নই, শুধু দোয়া করি তিনি দীর্ঘজীবী হন।
উল্লেখ্য, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কঠিন কাজটি গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি সিলেটেসহ যে সকল এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সে সকল এলাকা নিয়ে বেশ চিন্তিত।