বর্তমানে দেখা যাচ্ছে একটি বিষয় নিয়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গনমাধ্যমে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। মুলত প্রেমের প্রতারনার জন্য এই অনশন। দির্ঘ সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরবর্তিতে দেখা যায় প্রেমিক তা অস্বিকার করে কিংবা প্রেমিকাকে মেনে নিতে না চাওয়ার কারনে এই ঘটনা ঘটছে।
মাদারীপুরে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক প্রেমিকা। বিয়ে না করলে আত্মহত্যারও হুমকি দেন প্রেমিকা। এরই মধ্যে প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে অন্যত্র। প্রেমিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তার অবস্থান থেকে নড়বেন না।
১০ বছর প্রেম, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
অভিজিৎ কর্মকার
প্রেমিকার নাম হ্যাপি আক্তার এবং প্রেমিকের নাম আমিনুল হাওলাদার। হ্যাপি আক্তার রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র, আমিনুল ইসলাম ইতালির বাসিন্দা।
জানা যায়, ২০১৩ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া হ্যাপির সঙ্গে কলেজছাত্র আমিনুল হাওলাদারের পরিচয় হয়। তারপর তারা প্রেমে পড়ে। ২০১৬ সালে, হ্যাপির পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে করতে বাধ্য করে, কিন্তু এক মাস পরে, আমিনুলের জন্য তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে ওই বছর আমিনুল ইতালি গেলে হ্যাপির প্রয়োজনীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেন আমিনুল। ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা পাঠান। এ সময় দুই পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিন্তু চলতি মাসের ২রা তারিখ দেশে আসলে আমিনুলকে অন্যত্র বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এ খবরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন হ্যাপি আক্তার। এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু সমাধান চায়। এদিকে আমিনুলের পরিবার কোনো অবস্থাতেই হ্যাপিকে মেনে নিতে রাজি নয়।
অভিযুক্ত আমিনুলের শ্যালিকা লতা আক্তার বলেন, “কাউকে ভালোবাসলে তার অনেক প্রমাণ আছে। কিন্তু হ্যাপি-আমিনুল প্রেমের গল্পের কোনো প্রমাণ নেই। হ্যাপিকে আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমিনুলের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী হ্যাপি আক্তার বলেন, আমি বাসায় থাকার পর আমিনুল মাথা ঢেকে দেয়। আগামী শুক্রবার (১২ আগস্ট) আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ১০ বছর ধরে আমার সাথে প্রেম করছেন, আমি তার সাথে একটি পরিবার রাখতে চাই।
ইতালি প্রবাসী আমিনুল এবং হ্যাপির প্রমের সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা চলছে এবং বর্তমানে আমিনুলের অন্যত্র বিয়ের যে বিষয় উঠেছে তা নিয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, মেয়েটি ১০ বছর ধরে প্রেম করছে, কিন্তু আমিনুলের পরিবার তা অস্বীকার করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর অভিযোগ পেলে যত দ্রুত সম্ভব আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।