সাম্প্রতিক ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল কে মাঝরাতে ব্যবহার করেছেন সভাপতি ও সেক্রেটারির দলীয় লোকেরা। যে ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জান্নাতুল এর সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার না হলে আত্মহননের হু’’মকি দেন তিনি। গতকাল রাত হতে এখনো পর্যন্ত তারা আন্দোলনে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইডেন মহিলা কলেজ। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে আসন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী বাদী হয়ে রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, জান্নাতুলের ওপর সহিংসতা নতুন নয়। এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। সভাপতি (তামান্না জেসমিন রিভা) অনুসারীরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সময় আইনি কক্ষে মেয়েদের ছবি তোলেন। পরে সেখান থেকে সুন্দরীদের বেছে নেন তিনি। পরে বাছাই করা মেয়েদের বিভিন্ন হু’’মকি দিয়ে রুমে নিয়ে যায় এবং অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কু-পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, তারা ওইসব মেয়েদের দিয়ে নানা ধরনের ব্যবসা করতে চায়।
কয়েকদিন আগে এক মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে বৈশাখী বলেন, বিষয়টি কলেজের সব কর্মকর্তা জানেন। কিন্তু সেগুলো জব্দ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, দলের সুনাম যেন ক্ষুণ্ন না হয়, তাই এখন পর্যন্ত কিছু বলিনি। কিন্তু দিন দিন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমন বৈরী আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
সামিয়া আক্তার বৈশাখী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাহায্য না করে যৌন ব্যবসা, মেয়ে ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করলে ইডেন কলেজেরও বদনাম হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত ও অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়ার একটি অডিও মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। যদিও পরে তিনি এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার চারদিন পর দুই ছাত্রীর পো/শাক খুলে ভি//ডিও ভাইরাল করার হু//মকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রিভার বিরুদ্ধে।
এর আগেও অনেকবার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই সময়ে তারা ব্যক্তিগত ক্ষোভের অজুহাত দিয়ে নিজেদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে।