সারা দেশে ছাত্রলীগ নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। বিশেষ করে ইডেনের ঘটনা নিয়ে সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। এবার এই ঘটনা নিয়েই মুখ খুলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার দেয়া সেই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো হুবহু :-
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রে ও বিভিন্ন ইউনিটে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এর মূল কারণ- সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ব্যতিরেকে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়া। কেন্দ্রীয় নেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জানেও না কখন, কিভাবে, কাদের দিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট বা নিজ এলাকায় ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে গেলো, পূর্নাঙ্গ হলো বা ভেঙ্গে গেলো! সবই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও তাদের নির্দিষ্ট বলয় সর্বস্ব! কোন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার বালাই নেই!!
এই অচলায়তন আগেও ছিলো, অতীতে আমরাও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছিলাম বিধায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অফিসে আমাদের প্রথম নির্বাহী সভায় পুরো ৩০০ জন কেন্দ্রীয় নেতার সামনে আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বপ্রণোদিত হয়ে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম যে, এখন থেকে যেকোনো ইউনিটের কমিটি করতে বা গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতার’ লিখিত সুপারিশ ও স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক!
প্রায় সকল কেন্দ্রীয় নেতার সাথে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ১ নং জয়েন্ট সেক্রেটারিও হাততালি দিয়ে, টেবিল চাপড়ে তাতে সায় দিলেও সম্মানিত সভাপতি মহোদয়ের অনিচ্ছায় আমার প্রস্তাবটি সেদিন গৃহীত হয়নি।
এখন বর্তমান শীর্ষ নেতারা উদ্ভুত অচলায়তন কাটাতে, আগামীকালই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সভা ডেকে সেই ঐতিহাসিক প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারে। সেদিনের সেই নীতিগত সম্মতি ও হাস্যোজ্জ্বল হাততোলা দারুণ স্বদিচ্ছা নিশ্চয়ই সময়ের সাথে সাথে আরো পোক্ত হবার কথা!
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেছেন গোলাম রব্বানী। তার আমলে বেশ সুষ্ট ভাবে সংগঠিত ছিল ছাত্রলীগ বলে দাবি করে আসছেন তিনি বরাবর। তবে একটা সময়ে টাকা তছরুপের বোঝা মাথায় নিয়ে তাকেও সরে যেতে হয় দায়িত্ব থেকে। আর সেই থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির বাইরে আছেন।