Thursday , December 26 2024
Breaking News
Home / opinion / ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় সহযোগিতা করেছিলেন, লবিস্ট থাকা দোষের কথা নয়: কাদের সিদ্দিকী

ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় সহযোগিতা করেছিলেন, লবিস্ট থাকা দোষের কথা নয়: কাদের সিদ্দিকী

বাংলদেশের সুপরিচিত এবং একজন প্রবীন রাজনীতিবীদ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে সক্রীয় রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশের সস্বাধীনতা অর্জনেও তার অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। এমনকি তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে বীরউত্তম উপাধীতে ভুষিত হয়েছেন। বর্তমান সময়ে তিনি প্রায় সময় রাজনৈতিক এবং দেশের চলমান নানা পরিস্তিতি নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি করে থাকেন। সম্প্রতি তার নতুন একটি লেখা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে।

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় চলছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন ও অনশন করছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এখন প্রধান দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ বা বরখাস্ত। সার্বক্ষণিক প্রকৃত শিক্ষার্থীরাই দেশের সম্পদ, আমাদের মাথার মুকুট। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অধিকাংশ ছাত্রের অবদান। পাকিস্তানের কাঠামোতে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি, সেখানেও ছাত্ররা। এ ভূখন্ডে উল্লেখ যোগ্য সকল কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা আকাশচুম্বী। কয়েক বছর আগেও ফরিদপুর বা গোপালগঞ্জের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছিল। ছাত্ররা তাদের রক্তে রাঙিয়েছে ক্যাম্পাস। অনেকে সমালোচনা করেছেন আবার কেউবা ব্যথিত হয়েছেন শিক্ষার্থীদের কষ্টে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অপমানিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়। ইদানীং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই পার্টিমুখী। শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি সমাজের জন্য ভালো খবর নয়। শিক্ষকরাই পথপ্রদর্শক। তাদের মন-মেজাজ, চোখ খোলা থাকবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা দলীয় মনোভাব থাকলে ভালো কিছু শিখতে পারবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে আমাদের অনেক শিক্ষিত মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের হাতে নির্মমভাবে নি/হ/ত হয়। যাদের হ/ত্যা করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশই স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় পাকিস্তান প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছিল। এরপরও গত ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেষ মুহূর্তে তাদের বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে হ/ত্যা করা হয়। সেসব হ/ত্যা/কাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে অজ্ঞ করে তোলা, যাতে দেশের ছাত্র-যুবকরা অশিক্ষিত থেকে যায় এবং বিশ্বের দরবারে পিছিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতই সমালোচনা করা হোক না কেন, যারা পাকিস্তানকে কোনোভাবে সাহায্য করেছিল, তাদের পাকিস্তানিরা হ/ত্যা করে, বুদ্ধিবৃত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে জাতির সামনে তুলে ধরতেন, এমন বোকামি নেই। তার একমাত্র উদ্দেশ্য পাকিস্তানের বিপথগামী পরিকল্পনা ফাঁ/স করা। দেশ যাতে অযোগ্য হয়ে না পড়ে সেজন্য তিনি মেধাবীদের গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছেন। তিনি কাউকে দলের সদস্য করতে চাননি। তখন অনেক মুক্তচিন্তার মানুষ আমাদের আলোকিত করেছিল। প্রফেসর নীলিমা ইব্রাহিম, প্রফেসর আবু জাফর শামসুদ্দিন, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আব্দুল মতিন সহ আরো শত শত স্মরণীয় প্রতিভাবানের তখন অভাব ছিল না। কিন্তু এখন জাতীয় কোনো প্রশ্নে পরামর্শ নেওয়ার মতো নিরপেক্ষ কেউ নেই। কতদিন ধরে সিলেটের শিক্ষার্থীরা এই তীব্র শীতে এত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে না; পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, ভরসা করার কেউ নেই। কোনো রাজনৈতিক নেতা সমর্থন দিলে সরকার হা হা পাবে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবে। এটা ভাল না. আসল সমস্যা না থাকলে এত বেশি দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। বুঝলাম না, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জোর কোথায়? সে ছাগলের মত বসে আছে কেন? তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কাউকে বললে চলবে না। সেজন্য তাকে বলছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিমরুলের চাকায় যেন না লাগে। শিক্ষার্থীরা আপনার সন্তানের মতো। তাদের বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের কষ্টগুলো সমাধান করুন। তোমাকে ছাড়া কিছুই হবে না। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি একজন রুচিশীল মানুষ। আমি ওকে ভালবাসি। কিন্তু শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যায় কেন সক্রিয় হচ্ছেন না, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। সে যেতে পারত।

তিনি শারীরিকভাবে সিলেটে গিয়ে শিশুদের বোঝাতে পারতেন। সিলেটে যেতে আর কতক্ষণ? সিলেটে অনেক ফ্লাইট আছে। যদি তাই হয়, তিনি একটি হেলিকপ্টার নিতেন। তিনি স্পেশাল ট্রেনে যেতে পারতেন। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে বেশি দূর যেতে দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। কী দুর্ভাগ্য আমাদের! শি/শু/রা কাফন পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! প্রকৃত অর্থে এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় নয়, দুর্ভাগ্যের বিষয়। শিশুরা মন খারাপ করলে কাফন পরতে পারে এই বোধ আমাদের থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি দু-একদিনের মধ্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্ত পরিবেশ শান্ত করতে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন।

যেদিন আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ছাত্ররা ভিসিকে আ/ট/ক বা ঘেরাও করেছিল; শিক্ষার্থীদের অবরোধ থেকে উপাচার্যকে উদ্ধারে পু/লি/শের আগ্রাসী ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এখন সাধারণ মানুষের সাপ মা/রা/র প্রবণতা অনেক কমে গেছে। পাকিস্তান আমলে বেশি সাপ মা/রা হয়। তখনকার দিনে ছাত্রদের লাঠি দিয়ে পিটানো হতো যেভাবে সাপকে ছুড়ে মা/রা হতো। পু/লি/শে/র ভালো প্রশিক্ষণ নেই। আমাদের দেশে পু/লি/শে/র জনসংখ্যার অনুপাতে কত? যদি একদিন দেশের সাধারণ মানুষ উঠে দাঁড়ায় তাহলে পু/লি/শে/র কিছু করার থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তেমন কিছু করতে হবে না। এক-চতুর্থাংশেরও বেশি ইংরেজ কখনও ব্রিটিশ ভারতে আসেননি। এই ১ লাখ ইংরেজ সেই সময় ৩৩ কোটি ভারতীয় শাসন করেছিল। লোহা দিয়ে যেমন লোহা কাটা হয়, তেমনি ব্রিটিশরা ভারতীয়দের নিয়ে ভারত শাসন করেছে। তাই সাধারণ মানুষ বিরক্ত হলে তো কা/মা/ন-ব/ন্দু/ক চলবে না। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রমাণ, সম্মিলিত জনশক্তি কত মহান। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি- শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মায়ের মতো আচরণ করুন, তাদের সঙ্গে আপনার সন্তানের মতো আচরণ করুন।

যতক্ষণ একটি শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নিয়ম-কানুন মেনে চলে, ততক্ষণ তারা দেশের সম্পদ। কিন্তু যখন শৃঙ্খলার অভাব থাকে, তখন সমাজের ক্ষতি ছাড়া সেসব শক্তির কাছ থেকে দেশের স্বার্থে আর কিছুই আশা করা যায় না। তাই শৃঙ্খলা থাকলে সবসময়ই বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকে। বড় প্রশ্ন হল কোন শক্তি কতটা দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা যায়। ব্যবস্থাপনায় ভুল হলে সুশৃঙ্খল বাহিনীও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। পুলিশকে দিনরাত কাজ করতে দেখে মাঝে মাঝে অবাক হই। অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দিনে আট ঘণ্টা কাজ করলেও পুলিশ ও আরও কিছু বাহিনীকে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তাদের আরামের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পুলিশ খারাপ কথা বলে। সব সরকারি কর্মচারীকে মানবিক দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। বর্তমানে চারদিকে ন্যায়-নীতি-সততা ও মানবতার বড় অভাব। তাই সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি পুলিশের আচরণ দেশ ও সমাজের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত হবে না। ফুল দিয়ে সাজানো যত খারাপ কাজই হোক না কেন, খারাপ হবেই। সরকার যত তাড়াতাড়ি ছাত্রদের বুকে ধারণ করতে পারবে, ততই তাদের হৃদয়ে ভালোবাসা দিয়ে শান্ত করতে পারবে।

বেশ কিছুদিন ধরেই লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিএনপি শুধু লবিস্ট নিয়োগ করেনি, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন তারা করেছে। সরকারী লবিস্টরা চিরকাল বেঁচে থাকে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও আরও কয়েকটি দলের লবিস্ট রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কোনো দেশে লবিস্ট হওয়া দোষের কিছু নেই। কিন্তু বড় কথা হল তাদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে বা কীভাবে দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি ৩২ কোটি ডলার খরচ করেছে। এটা করার জন্য টাকা আছে. ওই লবিস্টদের টাকা কীভাবে দেওয়া হল, কোথা থেকে এল সেটা হিসাব-নিকাশের বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এখানে অর্থ পাচারের কোনো লক্ষণ খুঁজে পেলে তা মোকাবেলা করা যাবে, লবিস্ট নিয়োগ নয়। আমি যতদূর জানি, পাকিস্তানে আইয়ুবের শাসনামলে হুজুর মওলানা ভাসানী পাকিস্তানের বাস্তবতা এবং পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পাকিস্তানি সরকারের অযৌক্তিক নি/পী/ড়/নের বিষয়ে সময়ে সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কাছে উল্লেখ করতেন। তাই আমরা যদি ঠিক করি, অন্যরা অন্যায় করে, এমন নীতি ভালো নয়। যে কোনো আইন বা নীতির তাৎপর্য, যতই অস্থিরতা হোক না কেন, একই থাকতে হবে।

বেশ কিছুদিন ধরেই র‌্যাবের কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুমুল বিতর্কের বিষয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যেমন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে, তেমনি দেশের মর্যাদাও ক্ষুন্ন করেছে। র‌্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞায় সবাই যে গভীর সাগরের কোনো দ্বীপে বাস করছি না, তা ভালোভাবে বোঝা যায়। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা শুধু র‌্যাবের ওপর নয়, সবার ওপর আসতে পারে। তাই আমাদের সামনে পিছনে চিন্তা করতে হবে। আমরা একা যেতে পারি না। প্রায় সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে পৃথিবী সম্পূর্ণ থমকে গেছে। সেজন্য কেউ যত ইচ্ছা বেপরোয়া যেতে পারে না। বিএনপি আমলে রাধাব গঠিত হয়। র‌্যাবের ছোটখাটো বিকৃতির পাশাপাশি অসামান্য অর্জন রয়েছে। র‌্যাবের লোকজন অনেক বড় কাজ করেছে। ক/রো/না/র শুরুতে রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী শাহেদ, সাবরিনা, জেকেজির চেয়ারম্যান শামীমা নূর পাপিয়া, নারী ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, কক্সবাজারে মেজর সিনহা হ/ত্যা/র ঘটনায় ওসি প্রদীপকে গ্রে/প্তা/র করা হয়। তারা যদি মানুষ হতে প্রশিক্ষিত হয় তবে তাদের মধ্যে অবশ্যই মানবতার স্বাক্ষর থাকবে। র‌্যাবের কেউ স্বেচ্ছায় কারও ওপর ক্র/স/ফায়া/র করেছে বলে কারও কাছে মনে হয় না। হ্যাঁ, অর্থের জন্য, কিছু লোকের সামর্থ্য নাও হতে পারে। তবে এর মানে এই নয় যে পুরো সেনাবাহিনীই দায়ী। আর সব ক্ষেত্রেই কিছু মানুষের অহংকার একটু বেশিই হয়। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কিছু ঘোড়া-গাধা কথা না শুনলে ঘোড়া-গাধা-খচ্চরের দোষ নয়, এটা তাদের স্বভাব। যারা এগুলো পরিচালনা করেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবে যাতে লাগাম ঢিলা না হয়। সরকার সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করলে সামনে আরও অনেক কিছুই দেখা যাবে। শুধু র‌্যাব কেন, প্রশ্ন আসবে সব বাহিনী নিয়ে, বেসামরিক প্রশাসন নিয়েও। প্রশ্ন উঠলে চারদিক থেকে উঠে আসে। কথায় আছে, যখন দুর্ভাগ্য আসে, তখন সব দিক থেকে আসে। কেউ বিপদে পড়লে চারদিক থেকে বিপদ ঘিরে ফেলে। ব্যাপারটা যে এমন হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাদা চোখে দেখা যায়, সব ক্ষেত্রেই র‌্যাবের তৎপরতা দেখা যায়। তাই কাউকে মারতে চাইলে, বিপদে ফেলতে চাইলে তার কুকুরকে আগে বকা দিতে হবে। এক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বা হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে, বিশ্বের কয়টি দেশে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে এবং করছে। কেন আমাদের সন্তানরা নিজ দেশে তাদের বাবা, মামা, ভাই-বোনদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না, যারা দূরে গিয়ে সেখানকার মানুষকে কোলে তুলে নিয়ে বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারে? নিশ্চয়ই আমাদের কোথাও না কোথাও দোষ আছে। যত তাড়াতাড়ি আমরা সেই ত্রুটি খুঁজে পেতে পারি, ততই ভাল।

কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিয়ে বাংলাদেশ এক অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে পতিত হয়েছে। এমনকি এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে সর্ব্ত্র চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি শান্তিরক্ষা মিশন নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই চলমান পরিস্তিতি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ সরকার। এবং সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

About

Check Also

আগামীকাল ঢাকায় বড় কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা, আপাতত যানবাহন তল্লাসি করুন: ইলিয়াস হোসেন

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্যে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন, যারা সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে রয়েছে, পরিকল্পিতভাবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *