বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিষয়টি স্বীকার করেও পক্ষান্তরে সংকটময় পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতিকে দায়ী করছে, যেটা অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার একটি সুবিধাযোগ্য কৌশল। তবে এমন অজুহাত রাজনৈতিক নেতারা দেখালেও বর্তমান সময়ের শিক্ষিত সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারেন প্রকৃত বিষয়টি। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজনৈতিক সমালোচক আব্দুন নূর তুষার। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
ফোনে এসএমএস এলো, ইভিএমে আঙ্গুলের ছাপ যাচাই হয় বিধায় একজনের পক্ষে আরেকজনের ভোট বা একাধিক ভোট প্রদান অসম্ভব-ইসি
তারপর আরেকটা এলো, নির্বাচনে সহিং’/সতা এবং বাহ্যিক বলপ্রয়োগ প্রতিরোধে ইভিএমে ভোট দিন- ইসি।
তারপর গাইবান্ধাতে ইসি ভোট বন্ধ করলো। ইভিএম তাহলে কি করলো? ইভিএম থাকলে গোপন কক্ষে লোক গেলেই কি? সহিং’/সতা ও বলপ্রয়োগ তো হবেই না।
আরে ভাই সমস্যা হলো যু”দ্ধ। ইউক্রেন আর রাশিয়া যু”দ্ধের ফলে আজ আমাদের ইভিএম দিয়ে ভোটের এমন হলো। এর চেয়ে বেশি সমস্যায় আছে জার্মানরা। ইভিএম না থাকায় ও ক্রিকেট কোচ শ্রীরাম শ্রীধরন নাই বলে; ইভিএমের ওপর ইউক্রেন যু”দ্ধের ইমপ্যাক্ট বুঝতেই পারছেনা।
ইউক্রেনে যু”দ্ধ চললে এখানে ইভিএম কিভাবে কাজ করবে? কিভাবে সয়াবীন তেলের দাম ঠিক থাকবে। ইউক্রেনের কারণে ডলার এর দাম বেড়ে গেলো। ইউক্রেনের কারণে পি কে কে ফেরত আনতে পারা যাচ্ছে না। ইউক্রেনের কারণে বিদ্যুত নাই। ইউক্রেনের কারণে বৃষ্টিও কমে গেছে। এতো গো’লাগু’/লিতে মেঘ বাষ্প হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের জন্যই কালকে ফলোয়াররা পালিয়ে গিয়েছিলো জুকার ব্রো’র হিসাব থেকেও। ইউক্রেনের জন্য মনার্ক তথা সাকিব হীরু গং শেয়ার বাজারে চোট্টামি করলো। ইউক্রেনের কারণে মেট্রোরেলের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। ইউক্রেনের আবিস্কার মিনিকেট চাল বাজার থেকে বন্ধ করেও লাভ হচ্ছে না। ইউক্রেন এর জন্য বেগুন টমেটো সহ পুরো বাজারে আ”গুন। ইউক্রেনের বিনিয়োগকারী নাই তাই ই কমার্স সেক্টর বাংলারামাজন বাংলালীবাবা নিয়ে প্রবলেমে। ইউক্রেনের জন্য ভিকারুন্নেসার ছাত্রীরা রাস্তা আটকেছে।
এই ইউক্রেনটা এত গুরুত্বপূর্ণ অথচ ক্রিকেট খেলে না। এটা কোনো কথা হলো! ইউক্রেন ক্রিকেট খেললে আমরা ইউক্রেনের কোচ পেতাম। টি ২০ তে জিততে পারতাম।
প্রসংগত, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্য সংঘাতকে অজুহাত দেখানো এখন অনেকটা রাজনৈতিক নেতাদের বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সরকারের পরিকল্পনায় যে কিছুটা ভুল ছিল এমনটা বলা হচ্ছে না। তবে বর্তমান সময় একটা বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে আর সেটা হলো অর্থনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিচ্ছেন না। তবে এখন দেখার বিষয় সরকার অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে কোন পথ অবলম্বন করছেন।